Alipore Court: আদালত চত্বর থেকে ‘মারতে মারতে’ মক্কেলকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এলেন আইনজীবী
Alipore Court: ঘটনায় অসন্তুষ্ট আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই আদালতের সিজেএম ও এসিজেএম-এর নজরে এনেছেন বিষয়টি। আলিপুর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সহসম্পাদক সুব্রত সর্দার জানাচ্ছেন, 'এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমরা নিন্দা প্রকাশ করছি। তাই আপাতত আমরা কর্মবিরতিতে আছি।'
কলকাতা: বাঁশদ্রোণী থানার এক প্রতারণার মামলায় আত্মসমর্পণ করতে আলিপুর আদালতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু তদন্তকারী অফিসার কেস ডায়েরি জমা দিতে না পারায় আলিপুর আদালতের এসিজেএম-এর এজলাস থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পরবর্তী দিনে শুনানি হবে। তখনকার মতো ওই ব্যক্তি ও তাঁর আইনীজীবী এজলাস থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার তাঁর আইনজীবী কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসেন এসিজেএম-এর এজলাসে। বার অ্যাসোসিয়েশনের সহসম্পাদক জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির আইনজীবী এজলাসে ঢুকে বলেন, আদালত চত্বর থেকে পুলিশ তাঁর মক্কেলকে মারতে মারতে আটক করে নিয়ে গিয়েছেন। আর এই নিয়েই তীব্র অসন্তোষ আদালতের আইনজীবী মহলে। ঘটনার প্রতিবাদে বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এদিন সন্ধেয় কর্মবিরতি চালানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আইনজীবীরা এই ভাবে ওই ব্যক্তিকে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। এমনকী যাঁরা ওই ব্যক্তিতে আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা পুলিশ কি না, সেই বিষয়েও সংশয় রয়েছে আইনজীবীদের মনে। তাঁদের বক্তব্য, আদালত চত্বর থেকে যেন কাউকে গ্রেফতার না করা হয়, এই মর্মে অতীতে হাইকোর্টের মৌখিক নির্দেশ রয়েছে। যদি গ্রেফতার করতে হয়, তাহলে সিজেএম-এর থেকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। ঘটনায় অসন্তুষ্ট আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই আদালতের সিজেএম ও এসিজেএম-এর নজরে এনেছেন বিষয়টি। আলিপুর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সহসম্পাদক সুব্রত সর্দার জানাচ্ছেন, ‘এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনায় আমরা নিন্দা প্রকাশ করছি। তাই আপাতত আমরা কর্মবিরতিতে আছি।’
তবে সিজেএম ও এসিজেএম উভয়েই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছেন বলে জানাচ্ছেন আলিপুর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা। বাঁশদ্রোণী থানার ওসিকে ইতিমধ্যেই বিচারক ডেকে পাঠিয়েছেন আদালতে।