‘সুপ্রিম’ নির্দেশে হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন দাখিল মুখ্যমন্ত্রীর, মঙ্গলে শুনবে বৃহত্তর বেঞ্চ

Narada Case: হাইকোর্ট (Calcutta High Court) হলফনামা গ্রহণ না করায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশেই হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানালেন তাঁরা।

'সুপ্রিম' নির্দেশে হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন দাখিল মুখ্যমন্ত্রীর, মঙ্গলে শুনবে বৃহত্তর বেঞ্চ
অলংকরন: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Jun 28, 2021 | 2:22 PM

কলকাতা: নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের (Malay Ghatak) হলফনামা গ্রহণ করেনি কলকাতা হাইকোর্ট। শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় তাঁদের ফের হাইকোর্টে (Calcutta Hogh Court) আবেদন জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। আগামিকাল, ২৯ জুন এই মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগেই সোমবার হাইকোর্টে আবেদনপত্র দাখিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামিকালের শুনানিতে হলফনামার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বৃহত্তর বেঞ্চ।

নারদের হলফনামা সংক্রান্ত মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও রাজ্য সরকারকে হাইকোর্টে আবেদন জানাতে বলে শীর্ষ আদালত। গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানি। শীর্ষ আদালতে বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন আবেদন গৃহীত হবে কি না, তা ঠিক করবে হাইকোর্ট।

নারদ মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। গত ৯ জুন এই মামলার শুনানি চলাকালীন হলফনামা জমা নেওয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন মমতার আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। মুখ্যমন্ত্রী মূলত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতেই হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। তত দিনে শেষ হয়েছে সিবিআই-এর পক্ষের সওয়াল। তাই সময় পেরিয়ে গিয়েছে বলে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানিয়ে দেন নির্দিষ্ট সময়ের পরে দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ করা হবে না। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানিয়েছিলেন, হাই কোর্টের নিয়ম অনুসারে কোনও মামলার ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়া যায়। কিন্তু ওই যুক্তি বিচারকরা গ্রহণ করেননি।

এরপরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটক। সেই মামলার শুনানিতে বলা হয়, আবেদনের অগ্রিম কপি ২৮ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে। এই মামলায় হাইকোর্টে শুনানি রয়েছে ২৯ জুন। তার আগে হলফনামা নিয়ে আবেদন জানানোর কথা বলা হয়। এছাড়াও এই আবেদনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ তথা সিবিআই-কেও নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার নারদ মামলার শুনানির শুরুতে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নেবে, ওই হলফনামা আদৌ গৃহীত হবে কিনা।

আরও পড়ুন: ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে…’ সংলাপ-বিতর্কে ফের জিজ্ঞাসাবাদ মিঠুনকে

গত ১৭ মে নারদ মামলায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত চার হেভিওয়েট নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। ওই দিন নিম্ন আদালত তাঁদের জামিন দেয়। ঘটনার দিন নিজাম প্যালেসে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইরে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ওই দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটক মামলাকে প্রভাবিত করেছিলেন বলে আদালতে দাবি করে সিবিআই। তার জেরেই হলফনামা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মলয় ঘটক। মামলা অন্যত্র সরানোর আবেদনের শুনানি চলছে হাইকোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে।