Couple dead body: মুকুন্দপুরে ফ্ল্যাটে দম্পতির ঝুলন্ত দেহ, পুত্র-পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ
Couple dead body: ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে মৃত দম্পতির মেয়ে সঙ্গীতা সেনাপতি বলেন, "আমার বাবা-মাকে ওষুধ খেতে দিত না। অথচ এখানকার পার্টির লোককে ভুয়ো ওষুধ দেখিয়ে বলত, ওষুধ খেতে দিই। খেতে দিত না। প্রতিদিন অত্যাচার করত। বউ মারধর করত।"

কলকাতা: মুকুন্দপুরে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বয়স্ক দম্পতির দেহ। ফ্ল্যাটের দুটি ঘরে দু’জনের দেহ ঝুলছিল। মৃত দম্পতির নাম দুলাল পাল (৬৬) ও রেখা পাল (৫৩)। গতকাল দুপুর ১২টার পর থেকে আর দম্পতির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বাইরে থেকে ফ্ল্যাটের লোহার দরজা তালা বন্ধ ছিল। দম্পতির খোঁজ নিতে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। মৃত দম্পতির মেয়ের অভিযোগ, তাঁর বাবা-মার উপর অত্যাচার করতেন তাঁর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী।
বছর খানেক আগে মৃত ওই দম্পতির ছেলে সৌরভ পালের বিয়ে হয়। পুত্র ও পুত্রবধূ দম্পতির উপর অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ। মৃত দম্পতির মেয়ে সঙ্গীতা সেনাপতি বলেন, “আমার বাবা-মাকে ওষুধ খেতে দিত না। অথচ এখানকার পার্টির লোককে ভুয়ো ওষুধ দেখিয়ে বলত, ওষুধ খেতে দিই। খেতে দিত না। প্রতিদিন অত্যাচার করত। বউ মারধর করত। ছেলে মারত। দেওয়ালে মাথা ঢুকে দিয়েছিল। মা-বাবা আমাকে জানিয়েছিল।”
কেন বাবা-মার উপর অত্যাচার করতেন পুত্র ও পুত্রবধূ? সঙ্গীতা সেনাপতি বলেন, “মাস ছয়েক আগে আমার একটা বড় অপারেশন হয়েছিল। বাবা-মা চেয়েছিলেন, আমার কাছে গিয়ে দেখাশোনা করবেন। তাতে আপত্তি ছিল ভাই ও ভাইয়ের বউয়ের। তারা চেয়েছিল, আমাকে এখানে এনে রেখে দেখাশোনা করুক বাবা-মা। তাহলে বাড়ির কাজও বাবা-মা করতে পারবে। তা করেনি বলেই অত্যাচার করত। অপারেশনের পর আমি ৬ মাস এখানে আসতে পারব না জেনে অত্যাচার আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।”
এই খবরটিও পড়ুন




সঙ্গীতা আরও বলেন, “গতকাল দুপুরের পর থেকে বাবা-মার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তখন একজন ফোন করে দেখতে বললাম। তাঁরা এসে দেখেন, লোহার দরজায় তালা দেওয়া। কিন্তু, কাঠের দরজাটা খোলা। টর্চ জ্বেলে বাবার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।” গতকালও তাঁর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী বাবা-মার উপর অত্যাচার করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর যাবজ্জীবন সাজার দাবি করেন সঙ্গীতা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ। মৃত দম্পতির পুত্র ও পুত্রবধূর এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার সময় তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না।





