কলকাতা: শুরু হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর ভাইরাসের ভয় ভুলে উৎসবের জোয়ারে গা ভাসাচ্ছেন শহরবাসী। একটু অসাবধানতা যেখানে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) ডেকে আনতে পারে, সেখানে মন্ডপের ভিড়ের ছবি দেখে তাজ্জব বিশেষজ্ঞরাও। সব বয়সী মানুষের ভিড় পুজো মণ্ডপের সামনে। মাস্ক খুলে সেলফি (Selfie) তোলার হিড়িক। মাস্ক নেই শিশুদের মুখেও। এবার করোনার নতুন ঢেউ এলে যে শিশুদের ঝুঁকি সবথেকে বেশি হবে এ কথা বারবার বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। তাতেও ফেরেনি হুঁশ। তাই সাধারণ মানুষকে এবার কড়া বার্তা দিলেন কলকাতার চিকিৎসকেরা। এসএসকেএমে আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বার্তা দিলেন চিকিৎসকেরা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কী ভাবে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন ঘুম উড়িয়েছিল সে কথা মনে করিয়ে দিলেন তাঁরা।
এদিন এসএসকেএম-এ উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. অভিজিৎ চৌধুরী, ড. দীপেন্দু সরকার, ড. যোগীরাজ রায়, ড. অগ্নিমিতা গিরি, পর্বতারোহী ড. সত্যরূপ সিদ্ধান্ত ও অভিনেতা দেব শঙ্কর হালদার। শিশুদের ঝুঁকি কতটা বেশি এবং শিশুদের জন্য কতটা সতর্ক হওয়া প্রয়োজন, সেই বিষয়েই এ দিন জোর দেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসক ড. অভিজিৎ চৌধুরী মনে করিয়ে, এই উৎসব পালন করতে গিয়েই সবটুকু হারিয়েছে কেরল। তিনি বলেন, ভেন্টিলেটরের টুংটাং আওয়াজ যেন আমরা ডেকে না আনি। চিকিৎসক ড. অগ্নিমিতা গিরি, মনে করিয়ে দেয় শিশুরা টিকা পায়নি এ কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। শিশুদের মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, দায়িত্বশীল বাবা-মায়েরা শিশুদের আগুনের মুখে ফেলে দিচ্ছে।
ড. চৌধুরী বলেন, যাঁরা অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের আওয়াজ মিস করছেন, তাঁরা যেন আর কোনও বড় বিপদ ডেকে না আনেন। মায়ের আবাহন করতে গিয়ে যেন কোনও মায়ের কোল খালি না হয়, সে কথাও বলেন চিকিৎসকেরা। সরকার আরেকটু গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন অভিজিৎ চৌধুরী।
তবে এরই মধ্যে স্বস্তির খবর হল, ড্রাগ কন্ট্রোল অব ইন্ডিয়ার তরফে ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য় এই টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে দেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছুদিন থেকেই জ়াইকোভ ডি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া হবে এমন খবর সামনে এসেছিল। কিন্তু আখেরে বাজিমাৎ করে নিল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়া ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।