AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cyber Crime: সাবধান! শহর দাপাচ্ছে ‘ওটিপি সেলার্স’, ১৫-২০ টাকায় ওটিপি কিনে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার

Cyber Crime: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে প্রথম বিষয়টি সামনে আসে। ২০ জানুয়ারি পর্ণশ্রী থানায় এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন।

Cyber Crime: সাবধান! শহর দাপাচ্ছে 'ওটিপি সেলার্স', ১৫-২০ টাকায় ওটিপি কিনে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার
সাইবার ক্রাইমে ধৃতরা। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2022 | 6:49 PM
Share

কলকাতা: কোভিড, লকডাউনের সময় থেকে মানুষ যত বেশি করে সাইবার নির্ভর হয়েছে, তত বেশিই শহরে বেড়েছে সাইবার জালিয়াতি (Cyber Crime)। সম্প্রতি তদন্তে নেমে এক ভয়ঙ্কর জালিয়াত চক্রের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন ইন্সট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ওটিপি বিক্রির মাধ্যমে ভয়ঙ্কর সাইবার জালিয়াতি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। ব্যবসায় এমনই রমরমা যে ‘ইন্ডিয়ান ওটিপি সেলার’ নামে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপও খোলা হয়েছে। এই গ্রুপই গোটা জালিয়াতি চক্রটা চালাচ্ছে। খরচ মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর তারই বিনিময়ে ভুয়ো ফোন নম্বর থেকে ওটিপি কিনে খোলা হচ্ছে হাজার হাজার ভার্চুয়াল ওয়ালেট। যা পরবর্তীকালে হাত বদল হয়ে চলে যাচ্ছে সাইবার জালিয়াতদের হাতে। সবথেকে চিন্তার বিষয় হল, এই জালিয়াতি চক্রে হাত মিলিয়েছে নামী একটি টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থার কর্মীদের একাংশ। এছাড়াও রয়েছে ওয়ালেট কর্মীরা। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পর্ণশ্রী থানা এবং কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ-পশ্চিম ডিভিশনের সাইবার সেলের পুলিশ। সতর্ক করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থাকেও। তবে আরও লোকজন এর সঙ্গে জড়িত বলেই জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে প্রথম বিষয়টি সামনে আসে। ২০ জানুয়ারি পর্ণশ্রী থানায় এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, তাঁর মোবাইল ফোনে একজন ফোন করেছিলেন নিজেকে ব্যাঙ্ক কর্মী পরিচয় দিয়ে। ফোনের ওপার থেকে অভিযোগকারীকে বলা হয়, কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। এই আপডেট করার ফাঁদে ফেলেই অভিযোগকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে অভিযোগকারীকে ‘ব্যাঙ্ক কর্মী’ ফোন করেছিলেন, সেই ফোনের সিমটি আসলে ভুয়ো নথি দিয়ে কেনা হয়েছিল।

এরপর ওই সিম কার্ডটি যে ডিস্ট্রিবিউটর চালু করেছিলেন, তাঁকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। আর তদন্তে নেমে এরপর পুলিশ দেখে, জাল বিছানো বহুদূর অবধি। হালিশহরের বাসিন্দা পার্থ সাহা নামে এক ব্যক্তি উঠে আসে স্ক্যানারে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় গোয়েন্দারা। একটি চক্রের খোঁজ মেলে। তাদের পাণ্ডাদের ধরতে গিয়েই পুলিশের জালে ধরা পড়ে সাতজন। এদের মধ্যে একটি নামী মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থার কর্মচারীও রয়েছেন। পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ শিবশঙ্কর সাহা নামে কালনার এক বাসিন্দার খোঁজ পায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের ৭৪৮টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান ওটিপি সেলার নামে একটি মেসেজিং গ্রুপেরও খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। সেখানে নিজেদের মতো করে ওটিপি বিক্রি করা চলছে।

কলকাতা পুলিশের তরফে বারবার তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রচার করা হচ্ছে। কোনওভাবেই কেউ যেন কারও সঙ্গে কোনও পাসওয়ার্ড বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) শেয়ার না করেন। পুলিশের বক্তব্য, বহু সচেতন করেও গ্রাহকরা এমন একটা ভুল করে ফেলছেন, যার মাশুল অনেক বেশি দিতে হচ্ছে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা