কলকাতা: রেমালের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। আগামী ৪ ঘণ্টা ধরে এই প্রক্রিয়া চলবে। ঘূর্ণিঝড়ের যে পরিধি তা কয়েকশো কিলোমিটার হয়। সামনের দিকটা স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। আগামী চার ঘণ্টায় প্রথমে ঘূর্ণিঝড়ের ‘হেড’, তারপর ‘সেন্টার’ ও তারপর ‘টেল’ প্রবেশ করবে। সাড়ে ৯টা থেকে যদি ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু বলে ধরা হয়, তাহলে রাত দেড়টা পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে।
কলকাতা শহরে ভেঙে পড়ল বিপজ্জনক বাড়ি। জখম হলেন একজন। ১০ নম্বর বিবির বাগান এলাকায়।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে আলিপুর রোডে ভেঙে পড়ল বট গাছের একটা বড় অংশ। কলকাতায় যখন ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হচ্ছিল, হঠাৎই বটগাছের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যদিও কলকাতা পুরনিগমের কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
বাংলা-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে রেমাল। বাংলাদেশে ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি বেগে ঝড় হচ্ছে। সুন্দরবনেও ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ঝড় হচ্ছে।
রেমালের ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। আগামী ৪ ঘণ্টা ধরে এই প্রক্রিয়া চলবে। ঘূর্ণিঝড়ের যে পরিধি তা কয়েকশো কিলোমিটার হয়। সামনের দিকটা স্থলভাগে ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। আগামী চার ঘণ্টায় প্রথমে ঘূর্ণিঝড়ের ‘হেড’, তারপর ‘সেন্টার’ ও তারপর ‘টেল’ প্রবেশ করবে। সাড়ে ৯টা থেকে যদি ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু বলে ধরা হয়, তাহলে রাত দেড়টা পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। এখানেই সবথেকে বড় আশঙ্কা। নদীতে জলস্তর বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। ভরা কটাল। রাত ১১টার সময় সাগরদ্বীপে ভরা কটাল থাকবে। তার আগে বাড়বে জলস্তর। জোড়া ফলায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা আরও বেশি। ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিমি বেগে দমকা বাতাস বইবে উপকূলে। আগামী ৬ ঘণ্টা উপকূলে তাণ্ডব।
রাজভবন টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। কন্ট্রোল রুম খুলেছে। রাজ্যপাল-সহ সিনিয়র আধিকারিকদের সারা রাত পাওয়া যাবে। সাধারণের জন্য রাজভবন খোলা থাকবে। চিফ মেডিক্যাল অফিসার থাকছেন এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স রেডি থাকছে।
বাংলার দুয়ারে রেমাল, শুরু দুর্যোগ। ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু। বাংলার আকাশে ঘূর্ণিঝড়ের মেঘপুঞ্জ। রেমালের কেন্দ্র সাগরদ্বীপ থেকে ১২৫ কিমি দূরে। ক্যানিং থেকে ১৩৫ কিমি দূরে।
এই মুহূর্তে সাগরদ্বীপ থেকে ১৩০ কিমি দূরে রেমাল। ক্যানিং থেকে দূরত্ব ১৪০ কিমি।
সাগরের কচুবেড়িয়ার পুরষোত্তমপুরে ঝড়ের দাপটে গঙ্গাসাগর কচুবেড়িয়া রোডের উপর ভেঙে পড়েছে একের পর এক বড় বড় গাছ। ব্লক প্রশাসনের নেতৃত্বে কুইক রেসপন্স টিম গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চালাচ্ছে।
ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়ল পুরনো বিশাল একটি গাছ। অবরুদ্ধ কৃষ্ণনগর করিমপুর রাজ্য সড়ক। বেতাই এলাকার একাংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
রেমাল এফেক্ট শুরু। যশোর রোড নাগেরবাজারগামী লেনে দমদম মল রোডের কাছে ভেঙে পড়ে একটি গাছ। গাছের ভাঙা অংশ গিয়ে পড়ে একটি গাড়ির উপরে। গাড়িটির ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি আধ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় যশোর রোডে নাগেরবাজারগামী লেনে। গাছ পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নাগেরবাজার ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার কর্মীরা। গাছ কেটে তা সরিয়ে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন তাঁরা।
পূর্ব রেলের তরফে বিআর সিং হাসপাতালে স্পেশাল মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হল। স্টেশন এবং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ মানুষরা জখম হলে সেখানে এই টিম পৌঁছবে।
আমপান তছনছ করেছে কলকাতাকে। রেমেল নিয়েও কড়া সতর্কতা হাওয়া অফিসের। কলকাতাতে ঝড় হতে পারে ৮০ থেকে ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে। অর্থাৎ তছনছের সম্ভাবনা প্রবল। কলকাতা পুরনিগম, কলকাতা পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সকলে প্রস্তুত। তবে ঝড়ের পূর্বাভাসে চিন্তায় খোদ কলকাতার মেয়র। সবিস্তারে আসছে: কলকাতার বিপদও কম নয়, প্রেসমিটে ফিরহাদ নিজেই জানালেন আশঙ্কার কথা
এই মুহূর্তে উত্তর বঙ্গোপসাগরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান। বাংলাদেশের মংলা থেকে সরাসরি ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। সাগরদ্বীপ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়।
হিঙ্গলগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই বিপাকে মানুষ। কালিন্দীর জোয়ারের জলে ভাঙল নদীবাঁধ। আপদকালীন পরিস্থিতিতে বালির বস্তা ফেলে প্লাবন ঠেকানোর মরিয়ে চেষ্টা বাসিন্দাদের। খবর দেওয়া হল সেচ দফতরে।
রেমাল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজ ঝড় দুর্যোগ হবে। ৬টার পর থেকে এই ঝড় বাড়বে।কোস্টাল এলাকাতে হলেও কলকাতাতে ৮০ থেকে ১০০ কিমি বেগে ঝড় বইবে।
ক্রমেই এগিয়ে আসছে রেমাল। সাগর থেকে ১৬০ কিমি দূরে এই মুহূর্তে। ক্যানিং থেকে দূরত্ব ১৯০ কিলোমিটার।
আগামী ২-৩ ঘণ্টায় উপকূলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতা, হাওড়ায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস। পূর্ব মেদিনীপুরেও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস। ঘণ্টায় ২০-৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত ৪০-৫০ কিমি/ঘণ্টা বেগে হাওয়া বইতে পারে।
বাংলাদেশের মংলাতে ল্যান্ডফল ঘূর্ণিঝড় রেমালের। ভারতের মৌসম ভবন জানিয়ে দিল বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের কাছাকাছি রবিবার মাঝরাতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। মোংলা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এর ল্যান্ডফলের প্রবল সম্ভাবনা। সেই সময় তার গতিবেগ থাকবে ১১০ থেকে ১২০ সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। সাগর দ্বীপ থেকে ২১০ কিমি দূরে রেমাল। ক্যানিং থেকে ২৩০ কিমি দূরে রেমাল।
রেমালের প্রভাবে ঝড়ের গতি এতটাই হতে পারে যে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন বেলাইন হতে পারে। ট্রেন গড়িয়ে গিয়ে অন্য ট্রেনে ধাক্কা মারতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। শালিমার রেল ইয়ার্ডে ট্রেনের চাকায় বাঁধা হল চেন-তালা।রেলের ট্র্যাকে দেওয়া হল স্টপার।
‘গা ছমছম কী হয় কী হয় ! কখনও মজা কখনও বা ভয়।’ আবহাওয়ার আপডেট দেখতে দেখতে ঠাকুমার ঝুলির এই লাইনই যেন এখন দিবারাত্রি জপ করছে বঙ্গবাসী। তথ্য বলছে, ‘রেমাল’ নামটি ওমানের দেওয়া। এটি একটি আরবি শব্দ। এই নামের অর্থ ‘বালি’। কিন্তু, সে নাম যেই দিক, অর্থ যাই হোক। বাঙালি যে তাকে নিজের মতো গড়েপিঠে নেবে তা বলাই বাহুল্য। বিস্তারিত পড়ুন- রুমাল না রুমেলা? ‘রেমাল’কে আদর করে সবাই কী কী নামে ডাকছে
আছড়ে পড়বে ঘুর্ণিদানব রেমাল। তার জেরেই বন্ধ কলকাতা বিমান বন্দর। গোটা দেশ জুড়েই বাতিল বহু বিমান চলাচল। বাগডোগরা থেকেও কলকাতা সমস্ত বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রেমালের প্রভাবে উত্তরেও বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্বাবনা আছে। পাহাড়ের নদীগুলি ফুঁসে উঠতে পারে। হড়পা বান আসতে পারে এই আশংকায় আবহাওয়া দপ্তর থেকে দার্জিলিং এবং কালিম্পং ছাড়াও উত্তরের বিভিন্ন জেলাগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই হাওড়া, শিয়ালদহ শাখায় বাতিল হয়েছে গুচ্ছ গুচ্ছ লোকাল ট্রেন। শনিবারই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পূর্ব রেল। এবার একাধিক ট্রেন বাতিল হয়ে গেল দক্ষিণ-পূর্ব রেলেও। দিঘা, পুরীগামী অনেক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। বিস্তারিত পড়ুন- ঝড়ের মধ্যে দিঘা, পুরীর টিকিট কাটা আছে নাকি? দেখুন কী বলছে রেল
একদিন আগেই রাজ্য পরিবহণ দফতরের নির্দেশ দিয়েছে। হাওড়া কলকাতার মধ্যে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হচ্ছে। হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান বাপি মান্না জানিয়েছেন, এই দু’দিন কোনও লঞ্চ চলবে না। লঞ্চগুলিকে আর্মেনিয়ান ঘাট এবং হাওড়া ঘাটে মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এমার্জেন্সির জন্য লঞ্চের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার রাতেই বঙ্গোপসাগরের উপরে জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে বাংলার দিকে। আজ, রবিবার মধ্য রাতেই ঘূর্ণিঝড় সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে ল্যান্ডফল করতে পারে। ইতিমধ্যেই ‘রেমাল’ তার অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। ভোর থেকেই সুন্দরবন থেকে শুরু করে কলকাতা, দুই ২৪ পরগণা সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বেলা বাড়তেই দুর্যোগ বাড়বে।
বিস্তারিত পড়ুন: ফুঁসছে ‘রেমাল’, ভোর থেকেই শুরু বৃষ্টি, বেলা বাড়তেই ভয়ঙ্কর দুর্যোগের আভাস
সুন্দরবনের দুর্গম এলাকা গোসাবা ব্লক। ৯টি দ্বীপের মধ্যে এখানে ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অবস্থিত। চারিদিকে ঘিরে রয়েছে একটার পর একটা নদী। রেমাল আছড়ে পড়তে পারে এই সুন্দরবনেই। সেই কারণেই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছে ব্লক প্রশাসন। বিডিও অফিসে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। আর সেই কন্ট্রোল রুম থেকেই রবিবার সকাল থেকে রয়েছেনবিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা। চলছে নজরদারি।
রেমালের জন্য সর্তকতা জারি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের গঙ্গার তীরবর্তী সমস্ত ঘাটেই। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফেরি চলাচল। আপাতত বন্ধ হুগলির সঙ্গে উত্তর ২৪ পরাগনার জলপথে যাতায়াতের যোগাযোগ বন্ধ। সব ঘাটেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফেরি চলাচলের বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার থেকে ঝড়-বৃষ্টির দাপট উত্তরবঙ্গেও। বাংলায় লাল সতর্কতা জারি মৌসম ভবনের। কলকাতা-সহ ৬ জেলায় আজ লাল সতর্কতা
ঘণ্টায় ৯০ কিমি বেগে ঝড় উঠতে পারে কলকাতায়। ইতিমধ্যেই রবিবার সকাল থেকেই ঝিরিঝির বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে তিলোত্তমায়। বইছে দমকা হাওয়া।
হাওয়া অফিস বলছে, ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১৩৫ কিমি/ঘণ্টা। বাংলার উপকূলে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বেগে ঝড় উঠতে পারে।