কলকাতা: সামনে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর সামনে থ্রেট কালচার নিয়ে সরব হন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়া অনিকেত মাহাত। বলেই ফেলেন, “আরজি কর,সাগর দত্ত এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যাঁরা ভর্তি হয়েছে তাঁদের এমন কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাঁরা নটোরিয়াস ক্রিমিন্যাল…।”
অনিকেত কী বলেছেন?
অনিকেত: আরজি করের ছাত্র হয়ে বলছি আরজি করের যে ৫৯ জন বা ৫১ জনের যে কথাই বলুন না কেন ম্যাম…এর মধ্যে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, আমরা তদন্ত কমিটি তৈরি করেই…এই শাস্তির কথা…
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সেটা তোমরা নিজেরা করতে পার না
অনিকেত: আমরা নই, তদন্ত কমিটি করেছে ম্যাডাম।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ভাই, প্রিন্সিপ্যাল আমায় জানাননি। কলেজ কাউন্সিলের কথা আমাকে বলো না । তা সম্বন্ধে আমি কিছু জানি না। কলেজ কাউন্সিল কে তৈরি করে? কী সিস্টেম ? এক সেকেন্ড দাঁড়াও অনিকেত, এক সেকেন্ড দাঁড়াও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সরকার বলে একটা বস্তু আছে। মানুন আর না মানুন। সিস্টেম বুঝুন। আপনারা নিজেরা তদন্ত করে নিলেন? যাকে পছন্দ হল আর যাকে পছন্দ হল না তাঁকে বের করে দিলেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে থামিয়ে অনিকেত বলেন, “দে আর নটোরিয়াস ক্রিমিনাল ম্যাম”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: কী করে পড়ার সুযোগ পেল মেডিক্যাল কলেজে?
অনিকেত: পছন্দ-অপছন্দের জায়গা নয়। আমি ক্রিমিনালের পক্ষে থাকব ? না, ধর্ষকের পক্ষে থাকব ? একদম পরিষ্কার জায়গা। আপনি চাইলে তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করুন। কলেজ কাউন্সিল যে শাস্তি দিয়েছে, সেটা যদি মনে হয় সঠিক নয় তাহলে আবার কলেজে নিয়ে আসুন। কিন্তু, আমি অভিযোগটা কোথায় রাখব ? আমার কলেজ ক্যাম্পাসে যদি অভিযোগ জানানোর জায়গা না থাকে …আমি প্রশাসনে নাক গলাচ্ছি কোথায়? আমি ছাত্র ম্যাম।
এখানেই শেষ নয়, বৈঠকের মাঝে অনিকেত আবার বলেন…
অনিকেত: থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ৫৯ জনের মধ্যে অনেকে ১০০-র ১০ পাওয়ার যোগ্য নয়, গোল্ড মেডেল পেয়েছে। রাগ করবেন না, ক্ষুব্ধ হবেন না।
অনিকেত: আরজি কর-সাগর দত্ত এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যাঁরা ভর্তি হয়েছে তাঁদের এমন কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাঁরা নটোরিয়াস ক্রিমিন্যাল