
কলকাতা: রাজ্যে একদিকে এসআইআর প্রক্রিয়া। তারই মাঝে নির্বাচন সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। ভোটদাতাদের উৎসাহিত করতে বহুতল আবাসনগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্রের পরিকল্পনা করেছিল কমিশন। যার বিরোধিতা করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে বহুতল আবাসনগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা থেকে সরে এল কমিশন। সোমবার কমিশনের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হল, বহুতল আবাসনগুলিকে পৃথক ভোটকেন্দ্র হচ্ছে না।
কেন পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে গেল কমিশন?
বহুতল আবাসনগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্রের পরিকল্পনা নিয়ে ডিইও-দের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল কমিশন। সোমবার পর্যন্ত সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল। কমিশন সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র দু’টি রিপোর্ট এসেছে। রাজনৈতিক দল, আবাসনের বাসিন্দারা বহুতল আবাসনগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্র চাইছেন না। সেই কারণে সেখানে বুথ করার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে গেল কমিশন।
যে সমস্ত বহুতল আবাসনে ৩০০ জনের বেশি ভোটার রয়েছেন, তার ভিতরেই ভোটকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল কমিশন। এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে তৃণমূল। সম্প্রতি কলকাতার আবাসন কমিটিগুলিকে নিয়ে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, “ভোটকেন্দ্র সরকারি কিংবা আধা সরকারি জায়গায় হয়ে থাকে। আবাসনে বুথ তৈরি হয় কীভাবে?”
কেন এই পরিকল্পনা নিয়েছিল কমিশন?
কলকাতাতে ভোটদানের হার কম। কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলিতে ভোটদানের হার বাড়ানোর জন্যই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়। কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, হাউসিং কমপ্লেক্সে ভোটকেন্দ্র করার ফলে দিল্লিতে ভোটদানের হার ১৫ শতাংশ বেড়েছে গত বিধানসভা নির্বাচনে। সেকথা মাথায় রেখেই কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলিতে বহুতল আবাসনগুলিতে পৃথক ভোটকেন্দ্রের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সেই পরিকল্পনাই বাতিল করল কমিশন।