AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ED Arrest Sand Mining Case: ৭৮ কোটি টাকার দুর্নীতি! বালি পাচার-কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি ইডির

ED First Arrest in Sand Mining Case: কেটে যায় একটা মাস। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে বললেই চলে। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করেই জিডি মাইনিংয়ের প্রাক্তন কর্তার বাড়িতে ফের হানা দেয় ইডি। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। যা চলে দিনভর। কিন্তু অরুণ সরাফের বয়ানে সঙ্গতি খুঁজে পান না তদন্তকারীরা। অতঃপর গ্রেফতারি। এদিন অভিযুক্তের বাড়ি থেকে মোট ২৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।

ED Arrest Sand Mining Case: ৭৮ কোটি টাকার দুর্নীতি! বালি পাচার-কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি ইডির
প্রথম গ্রেফতারিImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 06, 2025 | 11:42 PM
Share

কলকাতা: সেপ্টেম্বরে অভিযান। তারপর মাঝে প্রায় দু’মাসের ব্যবধান। বালি পাচার মামলায় এই প্রথম গ্রেফতারি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। বৃহস্পতিবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর জি়ডি মাইনিং নামক সংস্থার প্রাক্তন ডিরেক্টর অরুণ সরাফকে গ্রেফতার করলেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁকে রাতের দিকে তোলা হয় মুখ্য় বিচারবিভাগীয় আদালতে।

গত সেপ্টেম্বর মাসেই বালি পাচার মামলায় রাজ্যে মোট চার জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামেন ইডি আধিকারিকরা। কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে দিনভর চলে তল্লাশি। ইডি আধিকারিকরা হানা দেয় অফিস পাড়া সল্টলেকে অবস্থিত জিডি মাইনিংয়ের অফিসেও। হানা দেয় ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে এক বালি ব্য়বসায়ীর বাড়িতেও। এই সময়কালেই উঠে আসে জিডি মাইনিংয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টরের নাম।

কেটে যায় একটা মাস। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে বললেই চলে। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করেই জিডি মাইনিংয়ের প্রাক্তন কর্তার বাড়িতে ফের হানা দেয় ইডি। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। যা চলে দিনভর। কিন্তু অরুণ সরাফের বয়ানে সঙ্গতি খুঁজে পান না তদন্তকারীরা। অতঃপর গ্রেফতারি। এদিন অভিযুক্তের বাড়ি থেকে মোট ২৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তাঁকে তোলা হলে মোট একদিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই ভিত্তিতেই আগামিকাল বালি পাচার মামলায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অরুণকে পেশ করা হবে ইডির বিশেষ আদালতে।

কী অভিযোগ ইডির?

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুকাল যাবৎ জিডি মাইনিংয়ের ডিরেক্টরের পদ ছেড়ে দিয়েছেন অরুণ সরাফ। ২০১৪ সালে সেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তবে এই সময়কালে জিডি মাইনিং ছাড়াও আরও একাধিক কোম্পানির নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ ইডির।

এদিন অরুণের আইনজীবী বলেন, ‘এই গ্রেফতারি ভিত্তিহীন। আর্থিক তছরুপ মামলার গ্রেফতারি ঠিক যেভাবে হয়, এই ক্ষেত্রে সেই নিয়মগুলি মানা হয়নি।’ অন্যদিকে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘ওনার বিরুদ্ধে ৭৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আমাদের তরফ থেকে মোট ১৪ দিনের হেফাজত দাবি করা হয়েছিল। আপাতত আগামিকাল অভিযুক্তকে ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে।’