Behala Accident: ‘টাকা খাওয়ার ব্যাপার আছে দাদা… ওদের ধরবে না’, পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
Behala Accident: স্কুলের সামনে কেন কোনও সার্জেন থাকে না, এই প্রশ্ন তুলে ফুঁসছেন উত্তেজিত জনতা।
কলকাতা: ক্ষোভ শুধু একদিনের নয়, বেহালার মানুষের উত্তেজনা বলে দিচ্ছে, ক্ষোভ জমে ছিল দীর্ঘ দিন ধরে। যে স্কুলে হাজারের বেশি পড়ুয়া প্রতিদিন আসে-যায়, তার সামনে নেই কোনও নিরাপত্তা! দেখা মেলেনা কোনও ট্রাফিক সার্জেনের! ৭ বছরের সৌরনীল সরকারকে কেন বলি হতে হল? পুলিশের দিকে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিচ্ছেন চৌরাস্তার বাসিন্দারা। যে গাড়িটি মেরে বেরিয়ে গেল, তাকে কি পরের সিগন্যালে আটকাতে পারত না পুলিশ? এক মহিলা বলেন, ‘এখানে টাকা খাওয়ার ব্যাপার চলছে দাদা। পুলিশ ওদের ধরবে না। চাইলেই পরের সিগন্যালে ধরতে পারত। কী করে বেরিয়ে গেল!’
একদিক জ্বলছে পুলিশে গাড়ি, বাইক। অন্যদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠছে। বাসিন্দাদের দাবি, নিয়মিত টাকা তোলে পুলিশ। তাই পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতেই ওই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে বেরিয়ে যায় লরিগুলি। সেই গতির জেরেই এদিনের দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন তাঁরা।
আর এক মহিলা বলেন, “জানেন এখানে একটা সার্জেন থাকে না। শুধু গাড়ি যাবে, টাকা নেবে আর পকেটে পুরবে। আমাদের সন্তানরা রাস্তা পার হয়। তাদের কথা কে ভাববে?” ক্ষোভ উগরে দেন আরও এক অভিভাবক। তিনি বলেন, “গিয়ে দেখুন প্রতিটি সরকারি স্কুলের সামনে নিরাপত্তা থাকে। এখানেই শুধু নেই।”
উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করার পর। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে দফায় দফায় লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসেল সেলও ছুড়তে থাকে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মহিলা, শিশু সবাইকেই লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে। কোনও মহিলা পুলিশও এলাকায় নেই বলে দাবি মহিলাদের। স্কুলের সামনে কাঁদানে গ্যাসের সেল কেন ফাটানো হল, সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
ঘাতক লরিটি ও চালককে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বাবলাতলা থেকে আটক করেছে হাওড়া ট্রাফিক পুলিশ। তুলে দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের হাতে।