Fire in Kolkata: জতুগৃহ ট্যাংরা, দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আগুন

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Apr 24, 2022 | 9:56 PM

Fire in Tangra: পরবর্তীতে দমকলের আরও চারটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় পকেট ফায়ারগুলি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আনতে সন্ধে সাড়ে সাতটা বেজে যায়।

Fire in Kolkata: জতুগৃহ ট্যাংরা, দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আগুন
সাড়ে চার ঘণ্টা পরে নিয়ন্ত্রণে ট্যাংরার আগুন

Follow Us

কলকাতা : রবিবাসরীয় দুপুরে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড ঘটে গিয়েছে কলকাতার বুকে। দুর্ঘটনাস্থল আবারও ট্যাংরা। কিছুদিন আগেই ট্যাংরায় বিধ্বংসী এক অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী থেকেছিল কলকাতা। সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য এখনও আবছা হয়নি শহরবাসীর মন থেকে। আর এরই মধ্যে ফের একবার আগুন লাগল ট্যাংরায়। এবার আগুন লাগে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের এক বস্তিতে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই পাঠানো হয় দমকলকে। প্রথমে আটটি ইঞ্জিন এসেছিল দুর্ঘটনাস্থলে। পরে তা আরও বাড়ানো হয়। সব মিলিয়ে ১৫ টি ইঞ্জিন মিলে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রথমে দমকলের ১১ টি  ইঞ্জিন ও স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুনের লেলিহান শিখায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কিন্তু তারপরেও বিক্ষিপ্তভাবে আগুন জ্বলতে থাকে বেশ কিছু জায়গায়। পরবর্তীতে দমকলের আরও চারটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় ওই পকেট ফায়ারগুলি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আনতে সন্ধে সাড়ে সাতটা বেজে যায়।

এদিকে ঘিঞ্জি এলাকা এব সরু গলির কারণে, দমকলকে বেশ বেগ পেতে হয়। দমকলের আগুন লাগার জায়গায় পৌঁছাতে সমস্যা হতে দেখে হাত লাগান স্থানীয়রাও। রবিবার হওয়ার কারণে এলাকার বেশিরভাগ যুবকই আজ বাড়িতেই ছিলেন। তাঁরা প্রায় সকলেই যে হাতের কাছে যা পেয়েছেন, কেউ বালতি বা কেউ অন্য কিছু নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। যেখানে আগুনটি লেগেছিল, তার পাশেরই একটি বহুতলের ছাদের ট্যাঙ্কের পাইপ ভেঙে সেখান থেকে জল দেওয়া হয় আগুনের উপর।

Key Highlights

1 কীভাবে আগুন লাগল, সেই কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ক্রিস্টোফার রোডের উপর একটি গ্যারেজ থেকেই প্রথম আগুন ছড়ায় বস্তিতে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন দমকলকর্মীরা। ঘটনার যে দৃশ্য প্রকাশ্য়ে এসেছে, তা থেকেই স্পষ্ট আগুনের ভয়াবহতা। দাউদাউ করে জ্বলকে দেখা যায় আগুনের লেলিহান শিখা। ঘিঞ্জি এলাকা এবং সরু রাস্তা হওয়ার কারণে দমকলের ইঞ্জিনগুলি ঢুকতে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে।

2 এলাকায় আরও কয়েকটি গ্যারেজ রয়েছে। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হলে, অন্যান্য গ্য়ারেজগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। আগুনের প্রাবল্য এতটাই যে আগুন লাগা ওই জায়গাটির পাশের একটি বড় বিল্ডিংটির দেওয়ালেও ফাটল ধরে গিয়েছে।

3 যে গ্যারেজটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, সেটির মালিকানা কার, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গাড়ির গ্যারেজগুলির বৈধ কাগজপত্র নেই। এমনকী কোনওরকম অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও ছিল না বলে অভিযোগ উঠছে। গ্যারেজগুলিতে পুরাতন ও নতুন গাড়ি সারাই থেকে শুরু করে গাড়ি রং করা… সব ধরনের কাজ করা হয়। একটি রঙের কৌটোও পাওয়া গিয়েছে। সেক্ষেত্রে রঙের পাশাপাশি দাহ্য পদার্থ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেখান থেকেই আগুন লেগেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি গাড়িগুলির মধ্যে যে পেট্রোল ও ডিজেল ছিল, তার ফলে আগুন আরও তীব্র আকার নেয় বলে অনুমান।

4 দমকলের তরফে অনেকগুলি ইঞ্জিন পাঠানোর কথা বলা হলেও, সরু রাস্তা হওয়ার কারণে সবক’টি ইঞ্জিন ঠিকমতো কাজ করতে পারছিল না বলেই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে যে ক’টি ইঞ্জিন ভিতরে ঢুকতে পেরেছিল, সেই ক’টি ইঞ্জিন দিয়েই আগুন নেভানোর কাজ চলছিল। তবে, তা পর্যাপ্ত হচ্ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারাও পাশের একটি বিল্ডিংয়ের ছাদের জলের ট্যাঙ্ক থেকে বালতি বালতি করে জল ঢালতে থাকেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ইঞ্জিনের জলও শেষ হয়ে যায় বলে জানা যায়।

5 আগুন লাগার ঘটনায় স্থানীয় বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা জানিয়েছেন, “আগুন এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দমকলের ইঞ্জিনগুলি এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু আগুন লাগার জায়গায় ঢুকতে সমস্যা হচ্ছিল। দমকলের ইঞ্জিনের গাড়িগুলির উচ্চতা বেশি হওয়ার কারণে রেল ব্রিজের ওদিক দিয়ে ঢুকতে পারছিল না। ফলে অন্যদিক দিয়ে দমকলের ইঞ্জিনগুলিকে ঢুকতে হয়। সেই কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল।”

আরও পড়ুন : West Bengal Weather Update: সাত জেলায় তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস, শুধু কষ্ট নয়, বিপদের আশঙ্কায় চিকিৎসকরা

Next Article