Gariahat Double Murder: ড্রেন-খাল থেকে উদ্ধার সুবীর চাকির একাধিক কার্ড, কাকুলিয়া খুনে নয়া তথ্য

Gariahat Double Murder: জোড়া খুনের পর মুম্বইতে গা ঢাকা দিয়েছিল ভিকি। সেখানে ১০ হাজার টাকার নিরাপত্তারক্ষীর চাকরিতে যোগ দেয় সে। তার সঙ্গী শুভঙ্করও একই বেতনে যোগ দিয়েছিল।

Gariahat Double Murder: ড্রেন-খাল থেকে উদ্ধার সুবীর চাকির একাধিক কার্ড, কাকুলিয়া খুনে নয়া তথ্য
কাঁকুলিয়া খুনে নয়া তথ্য, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2021 | 9:15 AM

কলকাতা: কাকুলিয়া খুনে (Gariahat Double Murder Case) মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদারকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে তল্লাশি লালবাজারের। একাধিক খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। গত বৃহস্পতিবার গড়িয়াহাট ফার্ন রোডে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে সুবীর চাকির ১৩ টি কার্ড। ফার্ন রোডে ড্রেনে ফেলেছিল ভিকি। আজ ভিকিকে আদালতে পেশ করা হবে।

জোড়া খুনের পর মুম্বইতে গা ঢাকা দিয়েছিল ভিকি। সেখানে ১০ হাজার টাকার নিরাপত্তারক্ষীর চাকরিতে যোগ দেয় সে। তার সঙ্গী শুভঙ্করও একই বেতনে যোগ দিয়েছিল। মুম্বই গিয়ে মোবাইলও কেনে ভিকি। এমনকি সিম কিনেছিল ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে। তাদের থেকে মোবাইল, সিম, নিয়োগপত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা।

খুনের পর সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ি চালকের আঙুল থেকে সোনা ও রূপোর আংটি খুলে নিয়েছিল ভিকি। তা এক বন্ধুর কাছে জমা রেখেছিল। বিনিময়ে নিয়েছিল ৫ হাজার টাকা। আর সেই টাকাকেই পুঁজি করে বাণিজ্যনগরীতে পাড়ি দেয় ভিকি। খুনের প্রায় সপ্তাহ তিনেকের মাথায় মুম্বই থেকে কাঁকুলিয়া খুনের মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, খুনের পর এক বন্ধু-সম আত্মীয়ের কাছে গিয়েছিল ভিকি। সুবীর চাকি ও তাঁর চালকের আঙুল থেকে লুঠ করা আঙটি জমা রেখেছিল আর পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছিল। বলেছিল, পরে টাকা দিয়ে গয়না নিয়ে যাবে বলেছিল সে।

ভিকি ও তার সঙ্গী মোবাইল ব্যবহার করত না। কিন্তু অন্য এক জনের মোবাইল থেকে ওই বন্ধুকে ফোন করেছিল ভিকি। তখনই মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ। মোবাইলের সূত্রেই জানা যায় ভিকি মুম্বইতে। সম্ভাব্য লোকেশন মেলে। তারপর মুম্বই রওনা দেন গোয়েন্দারা। মোবাইল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা লোকেশন সংলগ্ন এলাকায় নির্মীয়মান বহুতলগুলিতে খোঁজ করেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ভিকি।

খুনের পরে ভিকির খোঁজ পেতে রেলের থেকে ক’দিনের যাত্রী তালিকা চাওয়া হয়েছিল। শিয়ালদহ, হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেনের সেই যাত্রী তালিকা থেকেই নাম মিলেছিল ভিকির। কাঁকুলিয়ায় সুবীর চাকি ও তাঁর চালককে একই দিনে খুন করা হয়। ঘটনার তদন্তে মেনে পুলিশ অন্যতম মূল অভিযুক্ত হিসেবে ভিকি ও তার মায়ের সন্ধান পায়। তার মা মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করা হলেও ভিকিকে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। বারবার মোবাইল নম্বর বদলে পুলিশের চোখে ধুলো দিচ্ছিল সে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে থাকছিল। বারবার ডেরাও বদলাচ্ছিল। তাই তাকে নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর হাওড়া থেকে ট্রেনে ওঠে ভিকি ও তার বন্ধু। তারা পরেশনাথের টিকিট কাটে। তবে টিকিট কাটলেও পরেশনাথে নামেনি সে। এরপর সোজা চলে যায় মুম্বই। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই এমনটা করে বলে অনুমান পুলিশের। মুম্বইতে কালাচৌকি এলাকার একটি নির্ণীয়মান বহুতলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছিল সে। এ দিকে প্রথম থেকেই তার ওপর নজর ছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের। প্রথমে পরেশনাথে গিয়েও তার সন্ধান পায়নি পুলিশ। পরে তারা মুম্বইতে যায়। গত শনিবার রাতে ভিকিকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: রুদ্ধ পারদপতন, কোন কোন জেলায় বৃষ্টি আজ?