কলকাতা: ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক থেকে যদুবাবুর বাজার, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি, রাজ্যের সর্বত্র চলছে হকার উচ্ছেদ অভিযান। রাজপথে নেমেছে বুলডোজার। গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার ঝুপড়ি দোকান। চোখে জল হকারদের। যা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই চাপানউতোর চলছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। এবার ফুঁসে উঠল বিজেপি। মমতার আল্টিমেটামের পর এবার একেবারে মমতাকেই আল্টিমেটাম দিয়ে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রয়োজনে তিনি নিজে বুলডোজারের সামনে দাঁড়াবেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সোচ্চারে বললেন সে কথা। একইসঙ্গে এই ইস্যুতে লাগাতার মমতা সরকারের তুলোধনাও করলেন।
সাংবাদিক বৈঠক থেকেই সুর চড়িয়ে বললেন, যা হচ্ছে তা একেবারেই মানবতা বিরোধী কাজ। বললেন, “বেহালাতে বুলডোজার নিয়ে গিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হকারদের জিনিসপত্র সরানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি। যেভাবে লালবাজারের পুলিশরা কাজ করছেন, যেভাবে অন্যায়ভাবে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে আসার ছবি সামনে এসেছে, সেটাকে হকার উচ্ছেদ বা জনগণের স্বার্থের কাজ বলা যায় না। এটা মানবতা বিরোধী কাজ। লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ২৯টা আসন পাওয়ার দম্ভের বহিঃপ্রকাশ। পুরসভা এলাকায় হারের তীব্র যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ বলে আমি মনে করি।”
প্রসঙ্গত, সোমবারই আবার হকার উচ্ছেদ নিয়ে সব জেলার জেলাশাসক, পৌরসভা, সচিব এবং পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন মমতা। ইতিমধ্যেই বৈঠকের কথা নবান্নের তরফে জেলাশাসকদের জানানোও হয়েছে। সেই বৈঠকের কথা মনে করিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছেন শুভেন্দু। সাফ বলছেন, আগামীকাল সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা না হলে আগামী পরশু থেকে যেখানে হকার উচ্ছেদ হবে সেখানেই বাধা দেওয়া হবে। সাফ বলেন, “বিজেপির কার্যকর্তা থেকে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ, এলাকার ক্লাবগুলিকে অনুরোধ করছি যেখানেই নোটিস ছাড়া উচ্ছেদ হবে সেথানেই বাধা দিন। কী করবে? গ্রেফতার করবে? নোটিস ছাড়া কোথাও উচ্ছেদের খবর আমার কাছে এলে প্রয়োজনে আমি বুলডোজারের সামনে, পুলিশের সামনে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত আছি। আমাদের বিধায়কদেরও একই অনুরোধ করব।”