কলকাতা: তোড়জোড়টা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে এল একুশে জুলাই। তৃণমূলের মহা সমাবেশে কার্যত ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে গেল তিলোত্তমা। দিকে দিকে শুধু ঘাসফুলের মিছিল। ফিরহাদ হাকিম হন বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিন একুশের মঞ্চে উঠে বারবার করলেন অতীতের লড়াই আন্দোলনের স্মৃতিাচারণা। ফিরে গেলেন ইতিহাসের। ফের একবার মনে করালেন সিপিএমের ‘অত্য়াচারের’ কথা। ফিরহাদ তো বলেই দিলেন, “২৬ দিন অনশন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন। যদি আর কয়েক ঘণ্টা দেরি হতো তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মধ্যে থাকতেন না। সিপিএমের গুন্ডারা ওনাকে মেরে মাথার খুলি ফাটিয়ে দিয়েছিল। আর এক সেন্টিমিটার হলে ব্রেন টাচ করে যেত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মধ্যে থাকতেন না।”
শুধু এখানেই নয়, গোটা বর্ক্তৃতা জুড়ে বারবার মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল ফিরহাদকে। বললেন, “মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করা মমতা শিখিয়েছেন। কোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে দাঁড়াবে এটা তাঁর দল। আমরা বাংলাকে নিরাপদ রেখেছি।” শোনা গেল অভিষেকের প্রসঙ্গও। বললেন, “অভিষেক লড়াই করেছে, কীভাবে বাংলার দাবি নিয়ে আসা যায়, তবুও বাংলাকে কেন্দ্র বঞ্চনা করে যাচ্ছে। আমাদের লড়াই মানুষের স্বার্থে লড়াই, দেশ সুরক্ষার লড়াই। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশ্বাস দেব, দিদি তুমি লড়াই করো, আমরা তোমার সঙ্গে আছি। সারা ভারতকে বোঝাতে হবে, মমতার রাস্তাই ভারতের মুক্তির রাস্তা।”
অতীতের স্মৃতিচারণা করেন মমতাও। ফিরে যান রাজনৈতিক জীবনের শুরুর অধ্যায়ে। দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে গিয়ে বলেন, “আমার কপালের সামনে বন্দুক ধরেছিল। কিন্তু, মনে রাখবেন আমাকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারেনি। কেউ কেউ আমাকে সেদিন বাঁচিয়ে দিয়েছিল। হাজরার মোড়ে আমার মাথায় ডান্ডা মেরেছিল। আমার ব্রেন অপারেশন হয়েছিল। আমার মাথায় ৪৬টা সেলাই পড়েছিল। আমার দুটো হাত ভেঙে দিয়েছিল। কোমরে চোট ছিল। নির্বাচনের সময় তো নন্দীগ্রামেও চোট পেয়েছিল। অনেক লড়েছি। যতদিন বাঁচব ততদিন লড়ব।”