ফিরহাদ হাকিম

ফিরহাদ হাকিম

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে অন্যতম ফিরহাদ হাকিম। দীর্ঘদিনের পোড় খাওয়া রাজনীতিক। বর্তমানে তিনি রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। রাজ্য মন্ত্রিসভার এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ফিরহাদ। এর পাশাপাশি কলকাতা পুরনিগমের মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। অতীতে পরিবহণ দফতরেরও মন্ত্রী ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরনিগমের সঙ্গেও দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। রাজ্যে যখন বাম জমানা, সেই সময়েও কলকাতা পুরনিগমের বিরোধী কাউন্সিলর হিসেবে জিতে এসেছেন তিনি। ২০১৮ সালে কলকাতার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। সেই দায়িত্ব এখনও পালন করছেন।

পরিষদীয় রাজনীতিতেও অনেকদিন ধরেই রয়েছেন ফিরহাদ। ২০০৯ সালের উপনির্বাচনে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হন। আলিপুরের বাম প্রার্থীকে সেই সময়ে ২৭ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে বিধানসভায় পা রেখেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শুরু থেকেই ভরসা রেখেছেন তাঁর উপর। ২০১১ সালে রাজ্য রাজনীতিতে ঐতিহাসিক পালাবদলের পর থেকেই মমতার ক্যাবিনেটে রয়েছেন তিনি। ২০১১ সাল থেকে তিনি ভোটে দাঁড়ানো শুরু করেন কলকাতা পোর্ট এলাকা থেকে। পর পর তিন বার বন্দর এলাকা তাঁকে ভোটে জিতিয়েছে।

করোনার যখন ব্যাপক বাড়বাড়ন্ত, সেই সময় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ভূমিকা নজর কেড়েছিল অনেকের। এছাড়া শহরে ডেঙ্গি মোকাবিলায় যেধরনের পদক্ষেপ করা হয়, তাতেও মেয়র ফিরহাদের ভূমিকা চোখে পড়ার মতো। শহরবাসী যাতে নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা সরাসরি তাঁর কাছে জানাতে পারেন, সে জন্য ‘টক টু মেয়র’ বলেও একটি কর্মসূচি চালু করেছেন ফিরহাদ।

ফিরহাদ হাকিমকে অতীতে একবার গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই। নারদা স্টিং অপারেশন মামলায়। নারদার ভিডিয়ো তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ ও পরে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রয়াত তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও শাসক দলের যুক্তি ছিল, পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত।

Read More

Firhad Hakim: রাজাবাজারে ভূগর্ভস্থ জল চুরি কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপের পথে ফিরহাদ, দিলেন বড় নির্দেশ

Firhad Hakim: অভিযোগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অধীনস্থ স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের কোনও অনুমতি ছাড়াই যন্ত্র বসিয়ে ভূগর্ভ থেকে জল তুলে বোতলে ভরে বিক্রি চলছে অবাধে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ফিরহাদ।

Mamata Firhad: ফিরহাদের হাত থেকে হিডকোর দায়িত্ব এবার নিজের হাতে নিচ্ছেন মমতা?

Mamata Firhad: সূত্রের খবর, হিডকো এবার থেকে দেখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীই। হিডকোর অধীনেই তৈরি হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। যা আদতে মন্দির বলেই পরিচিতি পাচ্ছে। তার ট্রাস্টি বোর্ড এখনও গঠন হয়নি। সেই বোর্ডে ফিরহাদ হাকিম থাকলে তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের।

Pollution in Kolkata: বাঁচবে না কলকাতা? দলেরই কাউন্সিলরের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ ফিরহাদ

Pollution in Kolkata: ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যে পুরসভা শহরের বায়ু দূষণ নিয়ে প্রতি ক্ষেত্রে নিজেদের ক্লিনচিট দিয়ে থাকে, এই ক্ষমতাশীল দলেরই একজন কাউন্সিলরের প্রশ্নে শাসকদলের ট্রেজারি বেঞ্চ যে অস্বস্তিতে পড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Firhad Hakim: কঠোর শাস্তি হতে পারে ফিরহাদের? তৃণমূলের বিবৃতিতে শুরু জল্পনা

Firhad Hakim: ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি। এক্স হ্যান্ডলে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, "এটা শুধু ঘৃণা ভাষণ নয়, ভারতে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরির ব্লুপ্রিন্ট।" সিপিএম-ও এই নিয়ে শাসকদলকে খোঁচা দেয়। বিরোধীরা শুধু নয়, ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরও আক্রমণ করেন ফিরহাদকে। তৃণমূলের ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীরও ফিরহাদকে খোঁচা দেন। এবার ফিরহাদের মন্তব্যের নিন্দা করে বিবৃতি দিল তৃণমূল।

Firhad Hakim: উপরওয়ালার আশীর্বাদে আমরা একদিন সংখ্যাগুরু হব: ফিরহাদ

Firhad Hakim: ফিরহাদ হাকিম বলেন, "বাংলায় আমরা ৩৩ শতাংশ। কিন্তু, দেশে আমরা ১৭ শতাংশ। আমাদের সংখ্যালঘু বলা হয়। কিন্তু, আমরা নিজেদের সংখ্যালঘু বলে মনে করি না। আমরা মনে করি, উপরওয়ালার আশীর্বাদে একদিন আমরা সংখ্যাগুরুর চেয়েও সংখ্যাগুরু হতে পারি।"

Siddiqullah Chowdhury: ‘ও রাজনীতিতে আমার চেয়ে অনেক বড়, কিন্তু মুসলমানদের নিয়ে লড়াইয়ে..’, ফিরহাদকে কিসের খোঁচা দিলেন সিদ্দিকুল্লা?

Siddiqullah Chowdhury: সিদ্দিকুল্লা স্পষ্ট বলছেন, “আমি তৃণমূলের ওয়াকফ বিরোধী সভায় থাকব না। কারণ আমার উত্তরবঙ্গে বইমেলা আছে। আমি ববি হাকিমকেও জানিয়েছি। আমি থাকতে পারব না।” তবে শনিবারের সভার কথা পরবর্তীতে তিনি যে সংবাদমাধ্যম মারফত তিনি জেনেছেন তাও জানান।

Firhad Hakim: ফিরহাদ বিতর্কে মুখ্যসচিব-ডিজিকে বড় নির্দেশ মহিলা কমিশনের, বিধাননগর কমিশনারেটেও অভিযোগ দায়ের

Firhad Hakim: এদিকে জাতীয় মহিলা কমিশন সাফ জানাচ্ছে, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়ও। একদিন আগেই কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কমিশন নিজের মতো করে পদক্ষেপ করবে।