Firhad Hakim: নজরদারির খামতি ছিল! স্বীকার ববির
Firhad Hakim: তবে শেষ দিনে নিজের ভাষণে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ হেলে পড়া বাড়ি এবং বেআইনি নির্মাণ নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের দিকে আঙুল তোলেন। কাউন্সিলরদের অনুমতি ছাড়া বেআইনি নির্মাণ যে হওয়া সম্ভব নয় তা বলতেই চিৎকার করে ওঠেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা।

কলকাতা: সম্প্রতি যাদবপুরের বিদ্যাসাগর কলোনি এলাকায় হেলে পরে একটি বহতল।এরপর কলকাতার বিভিন্ন অংশে হেলে পড়া বাড়ি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বিরোধীরা রীতিমতো সরব হয়। অস্বস্তিতে পড়ে কলকাতা পুরসভার তৃণমূল প্রশাসন। এবার কলকাতা পুরসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে জবাবি ভাষণে খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্বীকার করে নিলেন, বস্তি বা কলকাতার বিভিন্ন অংশে বহু বেআইনি নির্মাণ ভাঙা সম্ভব হয়নি। নজরদারিতে কোথায় কোথাও খামতি রয়ে গিয়েছে। সর্বত্র কঠোর হওয়া সম্ভব হয়নি। স্বীকার মেয়রের।
মেয়র এ দিন তথ্য দিয়ে বলেন, “এখনো পর্যন্ত ১৫০টি বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয়েছে, ৫ হাজারটি বাড়ি কাজ বন্ধের নোটিস এবং ৫০০টি এফআইআর করা হয়েছে।” আবার মেয়র পারিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার নিজের ভাষণে বলেই দিলেন, “কলোনি এলাকায় এখনও বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। সেই বেআইনি নির্মাণ যাদবপুর (দেবব্রত মজুমদারের বিধানসভা এলাকা) এলাকাতে যেমন হচ্ছে, তেমনি বাম কাউন্সিলরদের এলাকাতে হচ্ছে।” প্রাক্তন মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলকে টেনে এনে সিপিএম আমলকে দুষলেন তিনি।
বাম আমলে এই বেআইনি নির্মাণ সব থেকে বেশি হয়েছে। সিপিএমের কর্মীরা বেআইনি নির্মাণ দাঁড়িয়ে থেকে করেছে কলোনি এলাকায়। সেই ট্রাডিশন এখনও চলছে বলে দাবি করেন যাদবপুরের বিধায়ক তথা মেয়র পরিষদ সদস্য।
যদিও বাম আমলে বেআইনি নির্মাণ বাড়বাড়ন্ত হওয়ার কথা মানতে চাননি বাম কাউন্সিলররা। তাঁরা প্রতিবাদ করতে শুরু করলে পাল্টা শাসকদলের কাউন্সিলররা চিৎকার করতে শুরু করেন। সরগরম হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষ।
তবে শেষ দিনে নিজের ভাষণে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ হেলে পড়া বাড়ি এবং বেআইনি নির্মাণ নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের দিকে আঙুল তোলেন। কাউন্সিলরদের অনুমতি ছাড়া বেআইনি নির্মাণ যে হওয়া সম্ভব নয় তা বলতেই চিৎকার করে ওঠেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা। সঠিক নজরদারির অভাব এবং কড়া আইন নেই বলেই তৃণমূল আমলে বিরানি নির্মাণ একের পর এক হচ্ছে বলে দাবি করতে থাকেন সজল ঘোষ।





