‘ধর্মের চেয়ে বড় জীবনের অধিকার’, গঙ্গাসাগর মেলায় ‘ফুল স্টপ’ দিতে পারে হাইকোর্ট

রাজ্য সরকারকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানাতে হবে সংক্রমণ রোধে রাজ্য কী ব্যবস্থা নিতে পারে। রাজ্যের জবাবে আদালত সন্তুষ্ট না হলে 'ফুল স্টপ' বসাতে দ্বিধা করবে না কোর্ট

'ধর্মের চেয়ে বড় জীবনের অধিকার', গঙ্গাসাগর মেলায় 'ফুল স্টপ' দিতে পারে হাইকোর্ট
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 07, 2021 | 3:21 PM

কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela) প্রাঙ্গণকে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ পর্যবেক্ষণে বলেন, “মানুষের জীবনকে আগে সুরক্ষিত করুন, ধর্মের অধিকারের চেয়ে জীবনের অধিকার বড়।” সূত্রের খবর, আগামিকাল ফের দুপুর দুটোর সময় শুনানি হবে।

রাজ্য সরকারকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানাতে হবে সংক্রমণ রোধে রাজ্য কী ব্যবস্থা নিতে পারে। রাজ্যের জবাবে আদালত সন্তুষ্ট না হলে ‘ফুল স্টপ’ বসাতে দ্বিধা করবে না কোর্ট, মন্তব্য খোদ প্রধান বিচারপতির।

আদালতের সওয়ালের মুখে রাজ্য রাজ্য জানায়, তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে কোভিড পরিস্থিতি মেডিক্যালি নিয়ন্ত্রণ করা কার্যত অসম্ভব। কেন্দ্রীয় সরকারও এ ক্ষেত্রে আলাদা কোনও গাইডলাইন দেয়নি। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার কিছু সংখ্যক হলেও কম পুণ্যার্থী আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি জানতে চান, গতবছর কত মানুষ এসেছিলেন? রাজ্যের আইনজীবী জানান, প্রায় ২৫ লক্ষ। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা মানুষের স্বাস্থ্য নিয়েই চিন্তিত। দরকারে মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসুন।” মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গঙ্গাসাগর মেলার আইন ১৯৭৬ এ-তে উল্লেখ আছে, মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বিশেষ কারণ দেখিয়ে রাজ্য এই মেলা বন্ধ করতে পারে। সেই অধিকার আছে এই আইনে।”

আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দুর নরকেও জায়গা হবে না’, নেতাইয়ে দাঁড়িয়ে সদর্প হুঙ্কার মদনের

ডিভিশন বেঞ্চ এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আলোচনা করে আগামিকাল হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। “দুর্গাপুজো, ছটপুজোর সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার পরিস্থিতির তুলনা হয় না। একমাত্র কুম্ভমেলার সঙ্গে তুলনা হয়। বাকি পুজোগুলিতে এত বিপুল মানুষ স্নান করতে নামেন না”, মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্যকে ডিভিশন বেঞ্চের পরামর্শ, “বিকল্প খুঁজুন, প্রয়োজনে মানুষ যাতে জল নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে।”

আরও পড়ুন: কেউ কেউ নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে ব্যক্তিগত বলে দাবি করে: সুব্রত বক্সি