‘শুভেন্দুর নরকেও জায়গা হবে না’, নেতাইয়ে দাঁড়িয়ে সদর্প হুঙ্কার মদনের

ছত্রধর এদিন বলেন, "কোথায় কোন বালুকাবেলায় জন্মেছে। আর এখানে এসে বলে সে নাকি জঙ্গলমহলের ভূমিপুত্র। ওর যদি বুকের পাটার থাকত তাহলে ইঁদুরের মতো গর্ত দিয়ে ঢুকত না, গর্ত দিয়ে বেরোতো না।"

'শুভেন্দুর নরকেও জায়গা হবে না', নেতাইয়ে দাঁড়িয়ে সদর্প হুঙ্কার মদনের
নেতাইয়ে মদন মিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 07, 2021 | 3:11 PM

ঝাড়গ্রাম: শুভেন্দু অধিকারীর নরকেও জায়গা হবে না। নেতাইয়ে দাঁড়িয়ে এভাবেই প্রাক্তন সতীর্থকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। একইসঙ্গে শুভেন্দুর ‘গড়ে’ দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে গেলেন, ‘ঝাড়গ্রামে চারটির মধ্যে চারটি আসনই আমরা জিতব।’ নেতাই দিবসে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এদিন শুভেন্দু-তৃণমূল দু’পক্ষই যুযুধান। শুভেন্দু যেমন অভিযোগ তুলেছেন, ভোটের আগে শহর থেকে নেতারা নেতাই আসেন। পাল্টা তৃণমূলেরও কটাক্ষ ‘বালুকাবেলায় জন্মে কেউ কেউ নিজেকে জঙ্গলমহলের ভূমিপুত্র’ বলে দাবি করে।

নেতাই দিবসে সকাল সকাল শহিদবেদীতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই স্থানীয় তৃণমূল তাদের কর্মসূচি শুরুর আগে সেখানে গঙ্গাজল ছিটিয়ে মুছে নেয়। অভিযোগ তোলে, এ বেদীতে ‘মীরজাফরের’ পা পড়েছে। তাই ‘শুদ্ধ’ করতে হল। বেলা বাড়তেই একে একে হাজির হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ছত্রধর মাহাতো, অজিত মাইতিরা। নেতাইয়ে শহিদবেদীতে মাল্যদানের পর শহিদদের পরিবার ও আহতদের হাতে শাল, চেক তুলে দেন।

আরও পড়ুন: শুধু সিপিএম নয় জনসাধারণের কমিটিও দায়ী ছিল, নেতাইয়ে বললেন শুভেন্দু

সেখান থেকে সোজা পৌঁছন লালগড়ে শহিদ-তর্পণ সভায়। এই সভামঞ্চ থেকেই কখনও আক্রমনাত্মক হতে শোনা গিয়েছে মদন মিত্রকে। কখনও গলা চড়িয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। সকালেই নেতাইয়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দু তোপ দেগেছিলেন ছত্রধর ও তাঁর জনসাধারণের কমিটি নিয়ে। বলেছিলেন, “আমি এখানে কোনওদিন রাজনীতি করিনি। এখানকার সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। এই সম্পর্ক যদি কেউ ছেঁড়ার চেষ্টা করে, কেউ যদি গত ১০ বছর জেলে কাটিয়ে এসে ভাবে এগুলি করবে তাহলে ভুল করবে।” ছত্রধর এদিন বলেন, “কোথায় কোন বালুকাবেলায় জন্মেছে। আর এখানে এসে বলে সে নাকি জঙ্গলমহলের ভূমিপুত্র। ওর যদি বুকের পাটার থাকত তাহলে ইঁদুরের মতো গর্ত দিয়ে ঢুকত না, গর্ত দিয়ে বেরোতো না।”

ছত্রধরের কথার রেশ ধরেই এরপর মঞ্চে উঠে মদনের বাণ, “যে নেতা শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন পরের দিন থেকে কলকাতার দরজা বন্ধ।” একইসঙ্গে তাঁর ভবিষ্যৎবাণী ‘শুভেন্দুর নরকেও জায়গা হবে না।’ এদিন মদন মিত্র বলেন, ঝাড়গ্রামে চারটির মধ্যে চারটি আসনেই তৃণমূল জিতবে। ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা অনুমতি দিলে প্রত্যেক সাতদিন অন্তর এই ঝাড়গ্রামের পবিত্র মাটি আমি ছুঁয়ে যাব’।

একই আশার কথা শোনা গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায় গলাতেও, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নই জিতবে। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।” শুভেন্দু প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০১৪ সালে যেভাবে অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। সেভাবেই এখন যোগাযোগ রাখছে অন্যদের সঙ্গে।” বিজেপির ‘তৃণমূল ভাঙানোর’ কাণ্ডারী যে শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূল মহাসচিবের বক্তব্যে যেন তারই প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত।