ঝাড়গ্রামে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালীন গুলি ছোড়ার অভিযোগ এনভিএফ কর্মীর বিরুদ্ধে, মৃত্যু যুবকের

প্রকাশ্য দিবালোকে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট (Cricket Tournament) চলাকালীন গুলি ঝাড়গ্রামে (Jhargram)। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম শহরে বাছুরডোবা এলাকাতে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা চলার সময় এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তাঁর মাথায় গুলি লাগে।

ঝাড়গ্রামে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলাকালীন গুলি ছোড়ার অভিযোগ এনভিএফ কর্মীর বিরুদ্ধে, মৃত্যু যুবকের
ছবি- নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Dec 08, 2020 | 4:31 PM

ঝাড়গ্রাম: প্রকাশ্য দিবালোকে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট (Cricket Tournament) চলাকালীন গুলি ঝাড়গ্রামে (Jhargram)। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম শহরে বাছুরডোবা এলাকাতে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা চলার সময় এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তাঁর মাথায় গুলি লাগে। এনভিএফ কর্মী গুলি চালায় বলে অভিযোগ। জখম যুবকের নাম তাকবীর আলি (২৬)। আহত যুবক রাধানগরের বাসিন্দা। সঙ্কটজনক অবস্থায় কলকাতায় নিয়ে আসার সময় মৃত্যু হয় ওই যুবকের।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এনভিএফ কর্মী বিশ্বজিৎ গুরুংয়ের এক যুবকের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তর বাড়ি ঝাড়গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনেদুপুরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা এলাকা। পুলিশের উপস্থিতিতে ক্রিকেট খেলার সময় এই গুলি চললেও অভিযুক্ত পলাতক।

অভিযোগ, এদিন বিশ্বজিৎ গুরুং খেলার মাঠে বচসায় জড়িয়ে পড়ে এক যুবকের সঙ্গে। এরপর সেই যুবককে পিস্তল বের করে গুলি করে। গুলি করার পর তাঁকে ভোজালি দিয়েও কোপায়। আহত যুবককে এলাকার মানুষজন তড়িঘড়ি ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনার পরেই এলাকা রণক্ষেত্রে চেহারা নেয়।

গত তিনদিন আগে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিস সুপার অমিত কুমার ভারত রাঠোর এই ক্রিকেট খেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। উদ্বোধনের পর প্রতিটি খেলায় পুলিস কর্মীও মোতায়েন করা ছিল। এদিনও খেলার মাঠে বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী উপস্থিত ছিল। পুলিস কর্মীদের উপস্থিতিতেই কীভাবে একজন পুলিস কর্মী গুলি চালালেন সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, ঝাড়গ্রাম শহর এবং শহরতলি এলাকায় আইনের শাসন অনেকটা শিথিল হয়ে গিয়েছে। পুলিশ শুধুমাত্র বালি এবং মোরাম খাদান থেকে তোলা তুলতেই ব্যস্ত। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয়। শেষমেশ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে হয়।  গরুতর আহত শেখ তাকবীর আলীকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতা পাঠানোর সময় মারা যায় তাকবীর।