সমলিঙ্গ বিবাহে ফের মিলল না আইনি স্বীকৃতি, ‘আগের রায়ে কোনও ভুল নেই’, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court: ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সমকামী সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিলেও, সমলিঙ্গ বিবাহে আইনি স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছিল।
নয়া দিল্লি: সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে রায়ে কোনও ভুল নেই। সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে শীর্ষ আদালত সমকামী সম্পর্ক ও সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিল। সমলিঙ্গ বিবাহকে আইনত স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি সেই রায়ে। শীর্ষ আদালতের ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য একগুচ্ছ আর্জি জমা পড়েছিল। সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বিচারপতি বিআর গভাই, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি বিভি নাগারত্ন, বিচারপতি পিএস নরসিমহা ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদনগুলি জমা পড়েছিল। পূর্বের রায় পর্যালোচনার করেই শীর্ষ আদালতের বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, আগের রায়ে কোনও ভুল ছিল না।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “প্রাক্তন বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট নিজের ও প্রাক্তন বিচারপতি হিমা কোহলির দেওয়া পুনর্বিশ্লেষণ করেছি এবং আমাদের মধ্য়ে একজন (বিচারপতি নরসিমহা) মতামত নিয়েছি। আমরা আগের রায়ে কোনও ভুল খুঁজে পাইনি। দুই রায়ই আইন অনুযায়ী দেওয়া হয়েছিল। এতে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। তাই রিভিউ পিটিশন খারিজ করা হল।”
২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ সমকামী সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিলেও, সমলিঙ্গ বিবাহে আইনি স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছিল। শীর্ষ আদালত রায়ে জানিয়েছিল, আদালত কোনও আইন তৈরি করতে পারে না। তার ব্যাখ্যা দিতে পারে মাত্র। সমলিঙ্গের বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিতে পারে বিধানসভা বা সংসদ। সরকারের উপরই সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি ছেড়ে দেয় শীর্ষ আদালত। ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্যই আদালতে একাধিক আর্জি জমা পড়েছিল। ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে সেই মামলার শুনানি শুরু হয়।
ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, সমকামিতা স্বাভাবিক বিষয়। এতে অস্বাভাবিকতার কিছু নেই। সমলিঙ্গের যুগলকে হেনস্থা না করা, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষিত করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত।