AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

নিজেদের শটগানেই প্রাণ হারিয়েছেন বিজেপি কর্মী: সুব্রত

"ওখানে কেউ কেউ শটগান ক্যারি করছিল। সেটা পুলিসের দিকে ছোড়ার জন্যই হোক বা সন্ত্রাস তৈরির জন্যই হোক।"

নিজেদের শটগানেই প্রাণ হারিয়েছেন বিজেপি কর্মী: সুব্রত
সাংবাদিক সম্মেলনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
| Updated on: Dec 08, 2020 | 4:58 PM
Share

কলকাতা: পুলিসের গুলিতে কেউ মারা যাননি। শটগান নিয়ে বিজেপিই এসেছিল পুলিসকে প্ররোচিত করতে। পুলিস লাঠি উঁচিয়ে ধরেছে মাত্র। তা ছাড়া আর কিছুই করেনি। শিলিগুড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় এমনটাই জানালেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “উত্তরবঙ্গে পুলিসের গুলিতে কেউ মারা যাননি। পুলিস গুলি চালায়নি। যা অবস্থা হয়েছিল তাতে লাঠি চার্জ হয়েছে। পুলিস যথেষ্ট সংযত ছিল।”

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, শিলিগুড়িতে নতুন ইস্যু তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর শরীরে ছররা গুলির দাগ পাওয়া গিয়েছে। পুলিস সে গুলি ব্যবহার করে না। তাহলে কী করে পুলিসকে দোষ দেওয়া যায়। তিনি বলেন, “আজ যে রিপোর্ট পুলিসের থেকে আমরা পেয়েছি তাতে পরিষ্কার বলা হচ্ছে ওখানে কেউ কেউ শটগান ক্যারি করছিল। সেটা পুলিসের দিকে ছোড়ার জন্যই হোক বা সন্ত্রাস তৈরির জন্যই হোক। দুর্ভাগ্যবশত নিজেদের শটগানেই ওই ব্যক্তি আহত ও পরে নিহত হন।”

মঙ্গলবার সকালেই টুইট করে একই দাবি তোলে রাজ্য পুলিসও। তাদের বক্তব্য, শটগানের গুলিতে জখম হয়ে মৃত্যু হয় উলেন রায় নামে ওই বিজেপি কর্মীর। ময়না তদন্তে তার প্রমাণ মিলেছে। পুলিসের দাবি, খুব কাছ থেকে এই গুলি কেউ ছুড়েছে। মিছিলেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে লোকজন ছিল বলে টুইটে দাবি করে পুলিস। সুব্রতবাবুও রাজ্য পুলিসের সেই দাবিকেই সমর্থন জানিয়েছেন।

সোমবার উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল করে শিলিগুড়ি আসেন দলীয় কর্মী, সমর্থকরা। উত্তরকন্যা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে বিজেপির মিছিল আটকে দেয় পুলিস। সেখান থেকেই শুরু হয় গোলমাল।

অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা এগিয়ে যাওয়ার জন্য হিংসাত্মক হয়ে ওঠেন। পুলিসও তাঁদের রুখতে মরিয়া ছিল। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। এরপরই কাঁদানে গ্যাস, ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, লাঠির আঘাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। আহত হন বহু। গুলিবিদ্ধ হন মিছিলে থাকা উলেন রায়। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।