RG Kar Case: সরে গিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ! এবার আরজি কর মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকও

Justice Debangsu Basak: গত বছর ডিসেম্বর মাসের কথা। আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নতুন করে তদন্তের দাবিতে সরব হয় নির্যাতিতার পরিবার। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে নতুন করে তদন্তের আবেদন জানান তাঁরা। মূলত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে তৈরি হওয়া অসন্তোষের জেরেই পুনর্তদন্তের আবেদন জানান নির্যাতিতার বাবা-মা।

RG Kar Case: সরে গিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ! এবার আরজি কর মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকও
সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Nov 06, 2025 | 7:26 PM

কলকাতা: সরে গিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এবার সরে গেলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। বৃহস্পতিবার আরজি করের ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে নতুন করে তদন্ত ও ঘটনা পরিদর্শনের মামলা ছাড়লেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। ফলত এবার প্রধান বিচারপতিই ঠিক করবেন এই দু’টি মামলা কোন এজলাসে শুনানি হবে।

গত বছর ডিসেম্বর মাসের কথা। আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নতুন করে তদন্তের দাবিতে সরব হয় নির্যাতিতার পরিবার। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে নতুন করে তদন্তের আবেদন জানান তাঁরা। মূলত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে তৈরি হওয়া অসন্তোষের জেরেই পুনর্তদন্তের আবেদন জানান নির্যাতিতার বাবা-মা।

মামলার আবেদনে নির্যাতিতার পরিবার তরফে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের উপর তাঁদের আর কোনও ভরসা নেই। তাই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিক কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, নিযুক্ত তদন্তকারীরা যাতে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন, সেই সংক্রান্ত আবেদন জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চের আগে নিম্ন আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে আবেদন খারিজ হলেই উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হতে হয় নির্যাতিতার পরিবারকে। তবে এক বছরের মধ্যেই সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। মামলা চলে যায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। এবার সেই মামলা থেকে তিনিও সরে দাঁড়ালেন।

শেষ হয়েও হইল না শেষ

চলতি বছরের জানুয়ারি মাস, মোট ১৬৪ দিনের মাথায় মিলেছে আরজি কর মামলার বিচার। শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে এই ঘটনায় একমাত্র দোষী সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। কিন্তু এই বিচার যথেষ্ট নয় বলেই দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। এই ঘটনার সঙ্গে সঞ্জয় ছাড়াও আরও অনেক অভিযুক্তের হাত ছিল বলে দাবি তাঁদের।