Partha Chatterjee: গ্যারাজে গাড়ি নেই, লকারে সোনা নেই, ঠিক কতটুকু আছে পার্থর সম্পত্তি?
Partha Chatterjee-Property: অপা কিংবা ইচ্ছেডানা নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটাই বাড়ি। সেটি নাকতলায়। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রীর হাতে নগদ মাত্রা ১ লাখ! বিধায়কের আয় কত? গাড়ি-বাড়িই বা কটা?

কলকাতা: গ্রেফতারির আগের রাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল থরে থরে সাজানো টাকা। টলিগঞ্জ নাকি বেলঘড়িয়া, কোন ফ্ল্যাটে বেশি টাকা, ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরাও। বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর সোনার গয়না। সামনে এসেছিল শান্তিনিকেতনের ‘অপা’, কলকাতার ‘ইচ্ছেডানা’-র মতো বাড়ি। আড়াই বছর পর জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন সেই পার্থ। শীঘ্রই বিধানসভাতেও আবার দেখা যাবে তাঁকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে যাঁর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ ওঠে, সেই পার্থর সম্পত্তি কত জানেন?
কত আয় পার্থর?
২০১৫-১৬ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আয় ছিল ৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ১ টাকা। ২০১৬-১৭-তে সেই আয় কমে হয় ৭ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৩৮ টাকা। ২০১৭-১৮ তে সেই কমে যায় আরও। কমে হয় ৬ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬১২। ২০১৮-১৯ সালে আয় আরও কমে ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৫০ হয় ও ২০১৯-২০ তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আয় ছিল ৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭২০ টাকা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ২০১৫-১৬-তে তাঁর আয়ের জায়গায় লেখা আছে ৬ লক্ষ ১৭ হাজার ৫১ টাকা।
অস্থাবর সম্পত্তি
২০২১-এর হলফনামায় উল্লেখ আছে যে ওই সময় তাঁর হাতে ছিল নগদ ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬৭৬। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার একটি অ্যাকাউন্টে ছিল ২৪ লক্ষ ৮১ হাজার ২ টাকা। স্টেট ব্যাঙ্কেরই অপর একটি ব্রাঞ্চে ছিল ১৫ লক্ষ ১ হাজার ১৬১ টাকা। আরও তিনটি ব্যাঙ্কে ছিল যথাক্রমে ২৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৯৩৫ টাকা, ২২ হাজার ৩৯৪ টাকা ও ১ লক্ষ ৮ হাজার ৬৯৫ টাকা।
একটিমাত্র এলআইসি-র বিনিয়োগের কথা উল্লেখ আছে হলফনামায়। ২৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন এলআইসি-তে। হলফনামা অনুযায়ী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে না ছিল কোনও সোনা, না ছিল কোনও গাড়ি। সব ঘরেই লেখা রয়েছে, ‘নিল’। সব মিলিয়ে ৯০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৬৩ টাকা।
এবার আসা যাক, স্থাবর সম্পত্তির কথায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনও জমির কথা উল্লেখ করেননি। অর্থাৎ তাঁর নামে কোনও জমি নেই, নেই কোনও কমার্শিয়াল বিল্ডিং। থাকার মধ্যে আছে শুধুই একটি বাড়ি। যার ঠিকানা নাকতলায়। দেড় কাঠা জমির উপর রয়েছে ২২০০ স্কোয়ার ফুটের একটি বাড়ি। তবে সেই জমি উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন তিনি। হলফনামার তথ্য বলছে, বাড়ি নিজের টাকাতেই নির্মাণ করেন পার্থ। ১৯৮৯ সালে সেই বাড়ি তৈরিতে খরচ হয়েছিল মোট ৫ লক্ষ টাকা, ২০২১-এ যার মূল্য বেড়ে হয় ২৫ লক্ষ টাকা। টাকার উৎস হিসেবে পার্থ উল্লেখ করেছেন নিজের বেতন ও ব্যাঙ্কের সুদ।
