Calcutta High Court: ‘তাড়াহুড়ো করে বিচার সম্পন্ন’, হাইকোর্টে কুলতলিকাণ্ডে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মুস্তাকিন
Calcutta High Court: সাজা ঘোষণার দিন আদালতে তোলার সময় মুস্তাকিন সর্দার দাবি করেছিলেন, তিনি কিছু করেননি। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। বারুইপুর পকসো আদালতে তাঁর বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়নি বলে অভিযোগ করলেন।
কলকাতা: নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের দায়ে তাঁকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে বারুইপুর পকসো আদালত। ৬১ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা হয়েছে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মুস্তাকিন সর্দার। তাঁর দাবি, তাড়াহুড়ো করে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়নি। আগামী সোমবার তাঁর আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা।
গত ৪ অক্টোবর দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে এক চতুর্থ নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ওইদিন রাতে গ্রেফতার করা হয় মুস্তাকিনকে। আরজি কর কাণ্ডের আবহে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কুলতলি। ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামলাতে হিমসিম খেতে হয়েছিল পুলিশকে।
ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছিল। ৩০ অক্টোবর বারুইপুর পকসো আদালতে জমা করা হয় চার্জশিট। গত ৫ ডিসেম্বর তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে বারুইপুর পকসো আদালত। পকসো আইন, খুনের মামলা ও ধর্ষণ-খুনের মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর মুস্তাকিনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক।
এই খবরটিও পড়ুন
সাজা ঘোষণার দিন আদালতে তোলার সময় মুস্তাকিন দাবি করেছিলেন, তিনি কিছু করেননি। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। বারুইপুর পকসো আদালতে তাঁর বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়নি বলে অভিযোগ করলেন। তাড়াহুড়ো করে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করারও অভিযোগ করেছেন।
আরজি কর কাণ্ডে শিয়ালদহ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য ও সিবিআই। দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে। আর কুলতলি ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত মুস্তাকিন হাইকোর্টে গেলেন তাঁর বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে।