Madan Mitra: ‘সাত দিনের মধ্যে বাংলার ভোল পাল্টে দেবেন মমতা’, মদনের চ্যালেঞ্জে জোর জল্পনা
Madan Mitra: মদন মিত্রের যুক্তি, "এই মুহূর্তে তৃণমূল ছাড়া আর কোনও পার্টি নেই। কোনও বিরোধী দল নেই। ফলে যে যা করছে, বলা হচ্ছে তৃণমূল করেছে।"
কলকাতা : সাত দিনের মধ্যে বাংলার ভোল পাল্টে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিকেলে TV9 বাংলার বিকেলের বিতর্ক অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। রাজ্যে সাম্প্রতিককালে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে চূড়ান্ত অবনতির অভিযোগ উঠেছে, যেভাবে সিন্ডিকেটের দৌরাত্মের কথা উঠে আসছে, সেই প্রক্ষিতে মদন মিত্র বলেন, “আমরা ছিলাম বলে সিপিএম তার পরেও ৫০ হাজার খুন করেছে। কিন্তু তারপরেও আমরা লড়ে গিয়েছি।” তাঁর যুক্তি, “এই মুহূর্তে তৃণমূল ছাড়া আর কোনও পার্টি নেই। কোনও বিরোধী দল নেই। ফলে যে যা করছে, বলা হচ্ছে তৃণমূল করেছে।” উল্লেখ্য, এই একই কথা কিছুদিন আগেই এক সরকারি মঞ্চে শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। হাঁসখালির নাবালিকা নির্যাতন প্রসঙ্গে বিরোধীদের চাপের মুখে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “কী করবেন বলুন? এখানে সবাই তৃণমূল করে। তাই তৃণমূলকে টানার কী দরকার? পশ্চিমবঙ্গে সবাই তৃণমূলে।”
উল্লেখ্য তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির থেকে ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়কে। সাম্প্রতিককালে বার বার সৌগত রায়ের মন্তব্য দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে বলেছিলেন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে একটি ধর্ষণের ঘটনাও লজ্জার। আবার বাড়ির পাশের সিন্ডিকেট দৌরাত্ম মুখ খুলেছিলেন। বলেছিলেন, এলাকার বয়স্ক লোকেরা আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে এমন ‘আলটপকা’ মন্তব্যের জেরে দলের উপর চাপ বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছে বিরোধীরা।
সেই প্রসঙ্গে বুধবার TV9 বাংলায় জানান, “লেক গার্ডেন্সে অনেক শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী মানুষ থাকেন। তার থেকে অনেক বেশি বড়লোক, উচ্চমধ্যবিত্ত মানুষ থাকেন ভবানীপুরে। সেই গিরিশ মুখার্জি রোডের উত্তম কুমারকে বাংলা ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল নকশালদের ভয়ে। আমরা যেন কখনও ভুলে না যায়, নকশালদের থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে যখন দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চলছে, এই দুটিকে তুলনা করা ঠিক নয়। এটা মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। সৌগত দা আমাদের বর্ষীয়ান নেতা। তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে কিছু বলতেই পারেন। কিন্তু তাঁর মতো বর্ষীয়ান নেতাদের মুখ থেকে এই কথা বেরোলে, জুনিয়র লেভেল কনফিউজ়ড হয়ে যাচ্ছে।”
এর পাশাপাশি রাজ্য়ের তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেই জন্যই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি বসছে। আমি মনে করি দলীয় নেতৃত্ব নিশ্চয়ই সংগঠনকে ঢেলে সাজাবে। পার্টির একেবারে তলার প্রত্যেকের কাছে খবর যাবে, যেই হোক না কেন, অন্যায় করলে, দলবিরোধী, মানুষ বিরোধী কাজ করলে তার প্রতিবাদ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “যদি দল মনেই না করত যে বিষয়গুলি আরও কঠোর হাতে দমন করতে হবে, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে বলতেন না যে তৃণমূল বলে রেয়াত করবেন না।”