Brigade Parade Ground: লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম, এবার ব্রিগেডে কর্মসূচি মমতাবালাপন্থী মতুয়াদের!
Hari Naam in Brigade Parade Ground: অবশ্য এই কর্মসূচিতে কোনও রকম রাজনৈতিক ছোঁয়া থাকবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। সভাপতির কথায়, 'সবাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করছেন। কেউ গীতাপাঠের আয়োজন করছেন, কেউ কোরানা পাঠের আয়োজন করছেন। কিন্তু মতুয়ারা একেবারেই অরাজনৈতিক।'

কলকাতা: রাজনৈতিক সমাবেশ মানে ব্রিগেড প্যারাড গ্রাউন্ড। বাংলা তো বটেই, বিশেষ করে শহরের রাজনীতিতে এই মাঠের অবদান কম নয়। ব্রিগেড দেখেছে স্বাধীনতা আন্দোলন, নেহরুর প্রধানমন্ত্রী, সাক্ষী থেকেছে বহু আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রপ্রধানের কলকাতার ময়দানে সমাবেশের। এই ব্রিগেডেই বামেদের উত্থান ও মৃত্য়ু। এই ব্রিগেডেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতার প্রথম বড় জনসভা।
তবে একাংশের মতে ব্রিগেডের সমীকরণ এখন বদলেছে। সম্প্রতি ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল ব্রিগেডে। বৃহস্পতিবার নদিয়ার সভা থেকে সেই অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ তুলে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, ‘গীতাপাঠের জন্য পাবলিক মিটিং করার কী আছে? ধর্ম মানে মানবতা, ধর্ম মানে শান্তি…’
এবার শুক্রবার সেই ব্রিগেডেই এক লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম সংকীর্তন করার কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরপন্থী অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের গোসাই পরিষদের সভাপতি নান্টু হালদার। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘আমরা একটা অরাজনৈতিক কর্মসূচি করতে চাই। লক্ষ কণ্ঠে হরিনাম সংকীর্তন হবে। জানুয়ারি মাসেই কোনও একটা দিন নির্ধারিত হবে।’
অবশ্য এই কর্মসূচিতে কোনও রকম রাজনৈতিক ছোঁয়া থাকবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। সভাপতির কথায়, ‘সবাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করছেন। কেউ গীতাপাঠের আয়োজন করছেন, কেউ কোরানা পাঠের আয়োজন করছেন। কিন্তু মতুয়ারা একেবারেই অরাজনৈতিক।’
কিন্তু হঠাৎ কেন এই আয়োজন? নান্টু হালদারের কথায়, ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনকে মাথায় রেখেই এই হরিনাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। হরিনাম শেষে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটার তালিকায় মতুয়াদের নাম রাখার আর্জি জানানো হবে। পাশাপাশি, সিএএ-র ফর্ম ফিল-আপ করেও তাঁরা যে এখনও নাগরিকত্ব পাননি সেই নিয়েও প্রতিবাদ জানানো হবে।
মতুয়াদের ‘সিএএ ক্ষোভের’ জেরে অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের। এদিন বিজেপি নেতা প্রিয়াংগু পাণ্ডে বলেন, ‘CAA নিয়ে ওনারা ভুল বুঝেছেন বা কেউ ভুল বুঝিয়েছেন। সব হিন্দুই নাগরিকত্ব পাবেন। আর মতুয়াদের হরিনাম সংকীর্তনের আমন্ত্রণ পেলে আমরা সবাই যাব। কিন্তু গীতাপাঠে যখন মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তিনি আসেননি।’
