SIR Bhabanipur: মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রেই বাদ যেতে পারে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটারের নাম, নন্দীগ্রামে তার ৪ ভাগের ১ ভাগ: সূত্র

SIR In WB: রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, ভবানীপুর আসন কখনও তৃণমূলের জন্য সেফ সিট নয়। শুধু চেতলার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের লিডে ভর করে জিতেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। SIR-এর পর ওই ওয়ার্ডেও লিড পাবে না তৃণমূল। এহেন বার্তার পরই কমিশন সূত্রে এই খবরে, স্বাভাবিকভাবেই পারদ চড়ছে।

SIR Bhabanipur: মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রেই বাদ যেতে পারে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটারের নাম, নন্দীগ্রামে তার ৪ ভাগের ১ ভাগ: সূত্র
কী বলছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন? Image Credit source: Social Media

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 12, 2025 | 10:24 PM

কলকাতা: ভবানীপুর হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র। কিন্তু ভবানীপুরেই বাদ যেতে পারে, ৪৪ হাজার ৭৮৫ জনের নাম। কমিশন সূত্রে তেমনটাই খবর। রাজ্যে ‘হটসিট’ ভবানীপুর। সেখানেই প্রায় বাদ যেতে পারে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটারের নাম। কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভবানীপুরে ভোটার ছিলেন ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৫০৯ জন। সেই তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে ৪৪ হাজার ৭৮৭ জনের। কিন্তু তাঁরা কারা? এর আগে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন ‘ভবানীপুর’ বহিরাগতদের ভিড়ে ভরে গিয়েছে। তাঁর কথায়, “ভবানীপুর পুরো বহিরাগতদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, গরিব মানুষজনকে সরিয়ে বড় বড় ফ্ল্যাট হচ্ছে ভবানীপুরে। তাতে ‘বহিরাগতরা’ আসছে সেখানে। মমতা বলেন, ‘আমাদের ভোটারদের তাড়িয়ে দিচ্ছে’।

তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তোলপাড় হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতি। পরে অবশ্য গিরিশ পার্কে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে সেই ‘বহিরাগত’ তত্ত্বের ব্যাখ্যাও দেন তিনি। বুঝিয়ে বলেছিলেন, ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আমার কথা অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমি বহিরাগত বলতে এখানে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের কথা বলিনি।’’ তিনি বুঝিয়ে বলেছিলেন, “বহিরাগত বলতে আমি একটা রাজনৈতিক দলকে বলেছি, যাঁরা বাইরের লোক নিয়ে এসে এখানে আমাদের ভোটারদের নামের পাশে নাম তোলেন। আমাদের এখানকার ভোটারেরা যাতে ভোট দিতে না-পারেন, সেই জন্য এমন করে তাঁরা।”

রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, ভবানীপুর আসন কখনও তৃণমূলের জন্য সেফ সিট নয়। শুধু চেতলার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের লিডে ভর করে জিতেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। SIR-এর পর ওই ওয়ার্ডেও লিড পাবে না তৃণমূল। এহেন বার্তার পরই কমিশন সূত্রে এই খবরে, স্বাভাবিকভাবেই পারদ চড়ছে।

এদিকে, রাজ্যের আরও একটি হটসিট নন্দীগ্রাম, অর্থাৎ শুভেন্দুর গড়। গত ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। সেখানে নন্দীগ্রামে বাদ যেতে পারে ১০ হাজার ৮৯৯ জনের নাম। এই বাদ পড়া নামকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেছে কমিশন। কেউ মৃত, কেউ অন্যত্র চলে গিয়েছেন, আবার কারও নাম রয়েছে একাধিক জায়গায়। নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই মৃত বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার বলেন, “পুরোটাই আসলে ভেজাল। ভোটে জেতার জন্য বিভিন্ন সময়ে বামেরা, তারপর তৃণমূল সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন। আসল ভোটারদের ভোট দিতে দেননি। ১৫ বছরে যারা বাবা হয়েছে, তারাই আসলে ভূতুড়ে ভোটার হয়ে এইসব লোকদের জিতিয়ে এসেছে।”

অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “কোথায় বাবার নামে ভুল রয়েছে, কোথায় একাধিক ক্ষেত্রে বাবার নাম এক, এগুলো সবই খতিয়ে দেখা নির্বাচন কমিশনের কাজ। সারা বছর ধরে হয়ে থাকে। যদি এরকম কোনও তথ্য সামনে এসে থাকে, তাহলে তা বাদ যাবে।”