Nandigram Case: দুই আদালতেই আজ নন্দীগ্রাম মামলা, শীর্ষ আদালতের রায়ে নির্ভর করছে হাইকোর্টের শুনানি

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 15, 2021 | 8:17 AM

Nandigram Case: আইনজীবীরা মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী বনাম বিরোধী দলনেতার এই আইনি লড়াইয়ে শীর্ষ আদালতে কী হয় তার উপরই নির্ভর করবে হাই কোর্টের শুনানি।

Nandigram Case: দুই আদালতেই আজ নন্দীগ্রাম মামলা, শীর্ষ আদালতের রায়ে নির্ভর করছে হাইকোর্টের শুনানি
অলংকরণ- অভীক দেবনাথ

Follow Us

কলকাতা: নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় (Nandigram Case) কারচুপির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে। আজ দুই আদালতেই মামলার শুনানি তালিকাভুক্ত হয়েছে। আইনজীবীরা মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী বনাম বিরোধী দলনেতার এই আইনি লড়াইয়ে শীর্ষ আদালতে কী হয় তার উপরই নির্ভর করবে হাই কোর্টের শুনানি। নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

হাইকোর্টে মামলাটির শুনানি ধার্য হয় বিচারপতি কৌশিক চন্দের আদালতে। ওই বেঞ্চ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি থাকায় মামলা পাঠানো হয় বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। হাইকোর্টে বেঞ্চ বদল হওয়ায় সুবিচার পাবেন না এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী।

উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম মামলাটি সবার প্রথম উঠেছিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আবেদন জানানো হয় যেন এই মামলাটি অন্য বিচারপতির বেঞ্চে সরিয়ে দেওয়া হয়। বহু বাক বিতণ্ডার পর অবশেষে মামলাটি ছেড়ে দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। কিন্তু মামলাটি ছেড়ে দেওয়ার সময় বিচারপতি তোপ দেগে বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করা হয়েছে।’ সেই মর্মে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। শুভেন্দুর আইনজীবী জানতে চেয়েছিলেন, আদৌ সেই জরিমানা জমা দেওয়া হয়েছে কি না! তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী জানান, জরিমানার টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চ এ দিন নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি পিছিয়ে দেয়। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ১৫ নভেম্বর রয়েছে বলে খবর।

হাইকোর্টে মামলাটি কয়েকমাসের জন্য পিছিয়ে যাওয়ায় তা পরোক্ষে শুভেন্দু অধিকারীর জন্যই লাভদায়ক হয় বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। একই সঙ্গে মামলাটি অন্য আদালতে স্থানান্তরিত হলে তাতেও পরোক্ষে শুভেন্দু অ্যাডভান্টেজ পেয়ে যেতে পারেন বলে মত আইনজীবী মহলের।

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ফলাফল পুনর্গণনার দাবি নিয়ে করা এই মামলার শুনানি কৌশিক চন্দের এজলাসে ওঠায় তা নিয়ে বেজায় অসন্তুষ্ট হয় তৃণমূল শিবির। এই মামলার শুনানি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে হোক, তা আগাগোড়াই চাননি মমতা। এর কারণ হিসেবে দাবি করা হয়, কৌশিক চন্দকে একাধিক সময় বিজেপির নানা অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। তিনি ‘বিজেপি মনোভাবাপন্ন’ বলেও দাবি করে তৃণমূলের আইনজীবী সেল। ফলে যে মামলাটি খোদ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে, তার শুনানি কৌশিক চন্দের এজলাসে হলে নিরপেক্ষ রায় নাও হতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিল তৃণমূল নেত্রীর।

শুনানির পর অসন্তুষ্ট হয়েই মামলাটি ছেড়ে দেন কৌশিক চন্দ। তবে মামলাটি ছাড়ার আগে যে কড়া বাক্যবাণ প্রয়োগ করেন, তা একপ্রকার নজিরবিহীন বললেও কম হয়। বিচারপতি বলেন, বিচারব্যবস্থাকে ‘কলুষিত করা হয়েছে’। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

আরও পড়ুন: ‘পুরভোটে বরদাস্ত করা হবে না গা জোয়ারি’, কর্মীদেরই সচেতন করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব

Next Article