AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘লোকে এসে বলছে বাঁচার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করে চাই’, বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যপালের

শীতলকুচি দিয়ে তিনি তাঁর সফর শুরু করেন রাজ্যপাল। অসমেও বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় শিবিরে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

'লোকে এসে বলছে বাঁচার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করে চাই', বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যপালের
ফাইল ছবি
| Updated on: May 15, 2021 | 8:43 PM
Share

কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে শীতলকুচি, নন্দীগ্রামের মতো এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর সেই সফরের পর বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন তিনি। টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ট্যাগ’ করে সেই অভিযোগ সামনে এনেছেন তিনি। তাঁর দাবি, মানুষজন নাকি তাঁকে এসে বলেছেন যে বাঁচার জন্য ধর্মও পরিবর্তন করতে রাজি তাঁরা। শনিবার নন্দীগ্রাম সফরের পর টুইটারে এই অভিযোগ সামনে এনেছেন তিনি। পাশাপাশি, রাজ্যের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার বার্তাও দিয়েছেন।

এ দিন সকালেই নন্দীগ্রামের একাধিক জায়গা পরিদর্শন করেছে রাজ্যপাল। আর তারপরই এই টুইট। যদিও কোথায় এ্মন অভিযোগ তিনি শুনেছেন, তা উল্লেখ করেননি। তিনি লিখেছেন, ‘কখনও ভাবিনি এমন একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, যখন মানুষ চোখে জল নিয়ে এসে বলবে, বাঁচার জন্য ধর্ম পরিবর্তন করতে চাই।’

এ দিকে, রাজ্যে কার্যত লকডাউন জারি করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামিকাল থেকে একাধিক বিধি-নিষেধ জারি হচ্ছে রাজ্যে। তার আগে রাজ্যপাল ধনখড়কে সফর শেষ করার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। টুইটারে সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। ধনখড় লিখেছেন, বিধিনিষেধের কথা মাথায় রেখে তাঁকে সফরসূচি স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। রাজ্যপাল এ দিন মানুষের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: রবিবার থেকে রাজ্যে কার্যত লকডাউন, কোন কোন ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়?

শীতলকুচি ও অসমের বিজেপিকর্মীদের আশ্রয় শিবির ঘুরে আজ নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন ধনখড়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান ওই এলাকায়, শতাধিক দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বোমা মেরে ঘর-বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, মানুষ পুলিশের কাছেও যেতে ভয় পাচ্ছে। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘এ সব দেখেও কিছু লোকের কোনও ভয় নেই। এমন পরিস্থিতিতেও যারা শান্তির ঘুম ঘুমোচ্ছে, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।’