মুখ্যমন্ত্রীর ওয়ার্ডে পানীয় জল খেয়ে মৃত ১, অসুস্থ একাধিক বাসিন্দা
দু'টি ট্যাঙ্কের জলই পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। গত কয়েক দিন সেই ট্যাঙ্কের জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ৫০ জন বাসিন্দা।
কলকাতা: ভবানীপুর বিধানসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের পানীয় জল খেয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। অসুস্থ শতাধিক। ওই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের (73 no. ward) শ্রমিক আবাসনে দু’টি জলের ট্যাঙ্ক আছে। সেই দুটি ট্যাঙ্কের জলই পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। গত কয়েক দিন সেই ট্যাঙ্কের জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ৫০ জন বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, সজ্জন নামে আবাসনের এক বাসিন্দা ওই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে শম্ভুনাথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পার্ক সার্কাসের হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ট্যাঙ্ক দু’টি দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হয় না। নদর্মার জল কোনওভাবে ট্যাঙ্কের জলে মিশে গিয়ে বিষক্রিয়া ঘটেছে। বিষক্রিয়ার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সকলে এমনটাই অনুমান স্থানীয়দের।
এই ঘটনার জেরে টনক নড়ে পুরসভার। মৃত্যুর খবর পেয়েই ট্যাঙ্ক পরিষ্কারে তৎপর হয় পুরসভা। ট্যাঙ্কের জল ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুরসভা। পাশাপাশি, আবাসনের বাইরে দু’টি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয় পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর রতন মালাকার জানান, জল থেকেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে, ট্যাঙ্কের জলের বিষক্রিয়ার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে তা মানতে নারাজ পৌরপিতা। কলকাতা পুরসভার বাম মুখ্য সচেতক চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘শহরের সর্বত্র এমন ঘটছে। আমার ১১১ ওয়ার্ডেও বিক্ষিপ্ত জায়গায় হয়েছে। পুর প্রশাসন এই জলের পুরোনো পাইপগুলো নিয়ে চিন্তিত নয়। যে কারণে মানুষ দুর্ভোগে পড়ছে।’