Lalit Jha-Parliament Case: লালবাজারে চিঠি দিয়েছিলেন সাংসদ হানার ‘মাস্টার মাইন্ড’ ললিত, ছিল নীলাক্ষর ঠিকানা
Lalit Jha-Parliament Case: সায়ন পাল নামে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা এক যুবক জানিয়েছেন জুলাই মাসের ওই র্যালিতে তিনি ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ললিতকে ওই সংগঠনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে চিনতেন তিনি। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর আদর্শ নিয়ে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল তাঁদের।
কলকাতা: ললিত ঝা-র কলকাতা যোগ স্পষ্ট হচ্ছে আরও। গত কয়েক বছর ধরে তিনি শুধু কলকাতায় থাকতেন তাই নয়, এই শহরে র্যালিও করেছিলেন তিনি। র্যালির অনুমতি মিলেছিল লালবাজার থেকেই। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সেই চিঠি, যেখানে র্যালির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। আর সেই চিঠিতে রয়েছে সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-র সই। শুধু তাই নয়, ওই চিঠির শীর্ষে সংগঠনের ঠিকানা হিসেবে যেটা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা বিধাননগর গভর্মেন্ট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নীলাক্ষর বাড়ি। উল্লেখ্য, বুধবার সংসদে স্মোক বম্ব হামলার পর সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রথম নীলাক্ষকেই পাঠিয়েছিলেন ললিত। ক্রমশ ললিতের সংগঠনকে নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে পুলিশের।
ললিতের সংগঠনের নাম ছিল ‘সাম্যবাদী সুভাষ সভা’। গত ২৩ জুলাই ওই সংগঠন একটি র্যালির আয়োজন করেছিল কলকাতায়। বাগবাজার থেকে নেতাজি ভবন পর্যন্ত ওই র্যালি করার কথা বলা হয়েছিল। এই সংগঠনকেও তাই সন্দেহের বাইরে রাখছেন না তদন্তকারীরা।
সায়ন পাল নামে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা এক যুবক জানিয়েছেন জুলাই মাসের ওই র্যালিতে তিনি ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ললিতকে ওই সংগঠনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে চিনতেন তিনি। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর আদর্শ নিয়ে কাজ করার কথা বলা হয়েছিল তাঁদের। অন্য কোনও পরিকল্পনার কথা কোনও দিন টের পাওয়া যায়নি বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
তবে পুলিশের সন্দেহ অন্য কোনও সংগঠন থাকতে পারে এর পিছনে। ভারত জুড়ে প্রভাব আছে এমন সংগঠন না থাকলে এত বড় একটা পরিকল্পনা করা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। এছাড়া এমন একটি কাজ করার জন্য টাকারও প্রয়োজন ছিল। সেই টাকাই বা কোথা থেকে আসত, সেটাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসেছে দিল্লি পুলিশের টিম।