Partha Chatterjee: গরাদের বাইরে, তিন বছর তিন মাস পর বাড়ির পথে জামিনে মুক্ত পার্থ
Partha Chatterjee: ২০২২ সালে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হন পার্থ। ইডি-র পর গ্রেফতার করে সিবিআই-ও। সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল দুর্নীতির ‘মূল মাথাই’ ছিল এই ‘প্রভাবশালী’ পার্থ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইডি-র মামলায় আগেই জামিন পেয়ে যান পার্থ।

কলকাতা: ঘরওয়াপসি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। অবশেষে তিন বছর তিন মাস পর জেলমুক্তি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। আগেই কোর্ট থেকে এসে গিয়েছিল রিলিজ অর্ডার। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য ছিলেন বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে। এদিন সেখান থেকে ছুটির খবর পাকা হতেই অনুগামীদের ভিড় বাড়তে থাকে সকাল থেকেই। কিছু সময়ের মধ্যেই ভিড় এক্কেবারে উপচে পড়ে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও শুরু হয়ে যায়। তারমধ্যেই উঠতে থাকে স্লোগান। সূত্রের খবর, হাসপাতাল থেকে সরাসরি নাকতলার বাড়িতে যাচ্ছেন পার্থ।
২০২২ সালে স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হন পার্থ। ইডি-র পর গ্রেফতার করে সিবিআই-ও। সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল দুর্নীতির ‘মূল মাথাই’ ছিল এই ‘প্রভাবশালী’ পার্থ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইডি-র মামলায় আগেই জামিন পেয়ে যান পার্থ। জামিন মেলে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলাতে।
শুরুতে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়িতে তল্লাশিতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল শহরে। দু’টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সেই সময়ই নাম জড়িয়ে যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি নাম জড়ায় গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি মামলাতেও। কয়েকটি মামলায় আগেই পার্থকে জামিন দেয় নিম্ন আদালত। পরবর্তীতে জামিন দিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্টও। তারপর থেকেই চলছিল অপেক্ষা। তবে এই সময়কালের মধ্যে শারীরিক অসুস্থতার জন্য দীর্ঘ সময় হাসপাতালেও ছিলেন পার্থ।
এদিন হাসপাতালের সামনে যেমন ভিড় দেখা যায় তেমনই মুক্তির খবর নিশ্চিত হতেই নাকতলার বাড়ির সামনে জমে যায় ব্যাপক ভিড়। ‘তোমাকে চাই’ পোস্টার হাতে হাতে দেখা যায় অনুগামীদের।
