কলকাতা: আবারও সেটিং তত্ত্ব! বিজেপি আর তৃণমূলের সেটিংয়ের কথা তুলে ফের উঠল রব। আরজি কর কেসে অভিজিৎ মণ্ডল আর সন্দীপ ঘোষ জামিন পেতেই সুর চড়াচ্ছে বাম, কংগ্রেস। অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের আবহে এপারে ফ্রন্টফুটে এসেছিল পদ্ম শিবির। লাগাতার সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের মতো নেতাদের। কিন্তু, শুক্রবারের জামিন দিবসে ব্যাকফুটে তারা।
প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা বাড়ানো কিংবা ভরসার দায়িত্ব নিতে হবে বলে মন্তব্য করলেও আড়ালে গেরুয়া শিবিরের নেতারা স্বীকার করছেন, এই ঘটনায় মুখ পুড়েছে। আড়ালে খানিক আক্ষেপের সুরে বলছেন, এমন অবস্থা বারবার ঘটছে। মানুষকে কোনও মুখে ভরসা রাখার কথা বলব?
রাস্তাই একমাত্র আস্থা, বলছেন কৌস্তভ বাগচী। ওপার বাংলার সংখ্যালঘু হিন্দুদের নির্যাতনের ঘটনা অনেকটা ফ্রন্টফুটে এনেছিল গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু, শুক্রবারের দিনভরের ঘটনাক্রম দেখে কেউ কেউ জামিন দিবস বলে মজা করছেন। শুক্রর সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের পথ স্পষ্ট হওয়া আর বিকেলে অভিজিৎ আর সন্দীপের জামিন, দুইয়ে মিলে দিনভর জোরাল চর্চা বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। যা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের মতে শাসকের বিরুদ্ধে আক্রমণে রাস্তায় কার্যত অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল পদ্ম শিবির। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আরজি কর কাণ্ড, যা বিগত কয়েক বছরের মধ্যে যে বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম মোড় ঘোরানো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যা আসলে বাংলার শাসকের অস্বস্তি বাড়ালেও পালে হাওয়া লাগিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, দুই কাণ্ডেই ‘মূল’ মাথা বলে যাদের নিয়ে এত শোরগোল তাঁদেরই একইদিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর জামিনে চাপ বাড়ছে প্রধান বিরোধী শিবিরে। এমতাবস্থায় খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বাম-কংগ্রেস। বাম-কংগ্রেসের অনেক নেতারাই কটাক্ষ করে বলছেন, যা হচ্ছে সবই সেটিং। এখন দেখার ‘চাপ’ মুক্তিতে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নতুন কোন রণকৌশল নেয় বঙ্গ বিজেপি।