ভুয়ো সিবিআই অফিসারের ‘গোপন ডেরাতে’ লাল দড়ির ফাঁস! ধৃতকে সঙ্গে নিয়েই চলবে অভিযান
Fake CBI Officer: জগাছায় শুভদীপের পৈতৃক বাড়িতে ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু জাল নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাওড়া ও কলকাতা: ভুয়ো সিবিআই অফিসার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোপন আস্তানার সন্ধান পেলেন তদন্তকারীরা। সেই মোতাবেক আগামিকাল বৃহস্পতিবারই বেলা এগারোটায় কেষ্টপুরের গোপন ডেরায় তল্লাশি করতে যাবে জগাছা থানার পুলিশ। উপস্থিত থাকবেন খোদ ভুয়ো সিবিআই কৌঁসুলি (Fake CBI Officer) শুভদীপও।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাগুইআটি থানার কেষ্টপুরের মহিষ গোট ফার্স্ট লেনেই আরও একটি বাড়ি রয়েছে শুভদীপের। জেরায়, শুভদীপ জানিয়েছেন ওই বাড়িতে বেশ কিছু নথিপত্র, ফাইল-সহ ওয়াকিটকি ও অন্যান্য জরুরি কাগজপত্র রয়েছে। প্রতিমাসে প্রায় সাত-আটবার শতাব্দী এক্সপ্রেক্স বা রাজধানীতে চড়ে দিল্লি পাড়ি দিতেন শুভদীপ (Fake CBI Officer)। পরিচয় দিতেন সিবিআই অফিসার হিসেবে। প্রয়োজনে ব্যবহার করতেন জাল নথিও। সেইসব নথির বেশ কিছু গুছিয়ে রেখেছিলেন কেষ্টপুরের বাড়িতে। সেইসমস্ত নথিও পাওয়া যেতে পারে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। ইতিমধ্য়েই জগাছায় শুভদীপের পৈতৃক বাড়িতে ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু জাল নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পাশাপাশি, কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকায় শুভদীপকে (Fake CBI Officer) সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। ২৭৫ নম্বর রবীন্দ্র সরণি থেকে তাঁর ভাড়ায় ব্যবহৃত গাড়িটি বাজায়প্ত করেছে পুলিশ। Wb 04 G 6310 কমার্শিয়াল গাড়িটিতে নীল বাতি লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতেন শুভদীপ। সঙ্গে গাড়িটিতে সিবিআই অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার বোর্ডও লাগানো থাকতো। গাড়ির চালক ও মালিক রমেশ কায়স্থকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
রবিবার, হাওড়ার জগাছার বাসিন্দা শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ করেন স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়নাদেবীর অভিযোগ, সিবিআই অফিসার (Fake CBI Officer) বলে পরিচয় দিয়ে দেড় বছর আগে বিয়ে করেছিলেন শুভদীপ। ধীরে ধীরে তাঁর জালিয়াতির তথ্য প্রমাণ-সহ উঠে আসে নয়নার হাতে। সেই মোতাবেক পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নয়না।
স্ত্রী নয়নাদেবীর অভিযোগ, বছর দেড়েক আগে সিবিআই অফিসার (Fake CBI Officer) বলে পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে বিয়ে করেন শুভদীপ। তখনও জানতেন না শুভদীপের আসল পরিচয়। কিন্তু, কিছু সময় পর শুভদীপকে কাজে যেতে আর দেখেননি নয়না। সন্দেহের শুরু তখন থেকেই। ধীরে ধীরে জানতে পারেন, শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় নামে কোনও অফিসারই নাকি নেই। প্রায় চারমাস ধরে নানা জায়গা থেকে শুভদীপের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেন নয়না। খোঁজ নিয়ে জানেন চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন শুভদীপ। ইতিমধ্যেই স্বামীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও করেছেন নয়না। আরও পড়ুন: ‘কালকের মধ্যে বলে দেব খুনি কে’, চ্যালেঞ্জ কেষ্টর