Police Constable Arrested: বান্ধবীকেও ঠকাতে ছাড়েননি ‘কোটিপতি কনস্টেবল’, যদিও পরে উপহার দেন ১১ লাখি গাড়ি
Police Constable Arrested: সম্প্রতি বীরভূমের রামপুরহাট থেকে গ্রেফতার করা হয় কনস্টেবল মনোজিত্ বাগীশকে। তাঁর বিরুদ্ধে চোরাপথে টাকা রোজগারের অভিযোগ ওঠে। রামপুরহাট থানায় কাজ করার পাশাপাশি হাওড়া গ্রামীণ ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটেও কাজ করেছেন তিনি।
কলকাতা: ‘কোটিপতি কনস্টেবল’-এর বিরুদ্ধে এবার মারাত্মক অভিযোগ সামনে আসছে। অভিযোগ, তাঁর প্রতারণার হাত থেকে ছাড় পাননি বান্ধবীও। রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তে উঠে আসা তথ্য বলছে, এক সময় এই কনস্টেবলের বিরুদ্ধেই বিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেই বান্ধবী। এর আগে জানা গিয়েছিল, ওই কনস্টেবলের ২১ লক্ষ টাকা বান্ধবীর কাছে ছিল। সাড়ে ১১ লক্ষ টাকার গাড়িও উপহার দিয়েছিলেন বান্ধবীকে। সম্প্রতি বীরভূমের রামপুরহাট থেকে গ্রেফতার করা হয় কনস্টেবল মনোজিত্ বাগীশকে। তাঁর বিরুদ্ধে চোরাপথে টাকা রোজগারের অভিযোগ ওঠে। রামপুরহাট থানায় কাজ করার পাশাপাশি হাওড়া গ্রামীণ ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটেও কাজ করেছেন তিনি।
রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা তদন্তে জানতে পেরেছে, কনস্টেবলের বিরুদ্ধে টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বান্ধবী। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। যদিও মনোজিৎ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সেই বান্ধবীর কোনও খোঁজ নেই।
সূত্রের খবর, তদন্তে উঠে এসেছে, পুলিশের উঁচুতলা পর্যন্ত হাত ছিল মনোজিতের। সেই যোগাযোগের কথা বলে পোস্টিং করানোর জন্যও টাকা নিয়েছেন কি না তা দেখছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত দেড় কোটি টাকার সম্পত্তির তথ্য সামনে এসেছে। ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আয় সেগুলি। সে সময় হাওড়া পুলিশে কর্মরত ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের পর থেকে কত টাকার সম্পত্তি বেড়েছে, তদন্তকারীরা তা খতিয়ে দেখছেন। তার জন্য মনোজিৎ-সহ তাঁর পরিবারের সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও জোগাড় করা হচ্ছে।
বারুইপুরের এই কনস্টেবলের বিলাসবহুল বাড়ির ভ্যালুয়েশন করছে দুর্নীতি দমন শাখা। রাজ্য দুর্নীতিদমন শাখা তদন্ত শুরু করার আগে ভিজিলেন্স তদন্ত হয়েছিল। পুলিশের সেই ভিজিলেন্স তদন্তেও মনোজিতের হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির প্রমাণ মিলেছিল।