পুলিশের স্ক্যানারে দেবাঞ্জনের সঙ্গিনীও, সিটি কলেজের টিকা ক্যাম্পে মারাত্মক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন এই ‘রহস্যময়ী’
পুলিশ প্রথম থেকেই নিশ্চিত, এই ধরনের দুঃসাহসিক 'জালিয়াতি' কেউ একা করতে পারেন না। এর পিছনে বড় চক্র রয়েছে।
কলকাতা: কসবার টিকা জালিয়াতি কাণ্ডে পরতে পরতে নয়া তথ্য। ভুয়ো আইএএস পরিচয় দিয়ে সাংসদকে পর্যন্ত জাল টিকা দিইয়ে ছেড়েছেন দেবাঞ্জন দেব। জল আর পাউডারের গুঁড়োয় তৈরি সেই টিকা শুধু দেশের সংসদ-সদস্যর শরীরেই নয়, গিয়েছে কসবার আম-জনতার শরীরেও। পুলিশ প্রথম থেকেই নিশ্চিত, এই ধরনের দুঃসাহসিক ‘জালিয়াতি‘ কেউ একা করতে পারেন না। এর পিছনে বড় চক্র রয়েছে। সেই চক্রের খোঁজ করতে গিয়ে উঠে এল দেবাঞ্জনের মহিলা সাগরেদের নামও। কসবার পাশাপাশি সিটি কলেজেও দেবাঞ্জন যে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প করেছিলেন, সেখানেই ছিলেন ওই মহিলা।
আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার উল্টোদিকেই সিটি কলেজ। সেখানেও টিকাকরণের ক্যাম্প করেছিলেন দেবাঞ্জন। সেই ক্যাম্পে ওই মহিলার সক্রিয় উপস্থিতি নজর এড়ায়নি কারও। রীতিমত নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে ক্যাম্পে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তিনি। নিজেকে ডব্লুবিসিএস অফিসার বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন সেদিন।
সিটি কলেজে দেবাঞ্জনের ক্যাম্পে ভ্যাকসিন নিয়ে প্রতারিত শ্রেয়া দাস জানান, “উনি ওই ক্যাম্পে ছিলেন। আমাদের আগেই বলেছিলেন কোনও ছবি তোলা যাবে না। এমনকী আমাদের কলেজের এক জুনিয়র ছবি তুলতে যাওয়ায় ওর গায়ে হাত পর্যন্ত তোলেন। এ নিয়ে বেশি কথা বললে লালবাজারে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন।” ওই মহিলার যুক্তি ছিল, যেহেতু বিশেষ পারমিশনে এই ক্যাম্প হচ্ছে তাই এ নিয়ে এত রাখঢাক।
আরও পড়ুন: কোভিশিল্ডের স্টিকার সরাতেই চোখ কপালে ফরেন্সিক বিভাগের! ভ্যাকসিনের নামে কী নিলেন মিমিরা?
প্রতি নিয়ত যেখানে টিকা নিয়ে টানাটানি চলছে, সেই সময় এ ভাবে ক্যাম্প করে টিকা পাওয়াকে ‘কপাল’ বলেই ধরে নিয়েছিলেন টিকা নিতে যাওয়া এলাকার বাসিন্দারা। হতে পারে তাই আর কথা বাড়াননি। কিন্তু এখন তাঁরা বুঝতে পারছেন, কোন ফাঁদে পড়েছিলেন। দেবাঞ্জনের ওই সঙ্গিনীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে পুলিশ।