কলকাতা : রাজ্যে একের পর এক হিংসা। জনপ্রতিনিধিরা খুন হচ্ছেন। প্রকাশ্য়ে গুলি করে খুন করা হচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা (Law and Order of West Bengal) পরিস্থিতি কোন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, তা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। এরই মধ্যে শুক্রবার বিকেলে বগটুই হত্যাকান্ডের (Bagtui Massacre) প্রতিবাদে পথে নামল কলকাতার নাগরিক সমাজ। প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন অম্বিকেশ মহাপাত্র, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, অনীক দত্ত, পবিত্র সরকার সহ শহরের আরও অনেক বিশিষ্টজনরা। স্টুডেন্টস এগেইস্ট ফ্যাসিজ়মের ব্যানারে চলে নাগরিক সমাজের এই প্রতিবাদ মিছিল। মিছিলে ছিলেন বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের একাধিক পরিচিত মুখ।
শুধু রামপুরহাটের নৃশংস হত্যাকান্ডই নয়, এর পাশাপাশি আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু নিয়েই শুক্রবার রাজপথে সরব হন কলকাতার নাগরিক সমাজ। শুক্রবার বিকেল চারটের সময় মিছিল শুরু হয় মৌলালি থেকে। সেখান থেকে মিছিল এগিয়ে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত গিয়ে শেষ হওয়ার কথা। মিছিল থেকে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। ব্যানারে বড় বড় করে লেখা, এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না। ঘটনায় অপরাধীদের যাতে যোগ্য শাস্তি হয়, এই দাবি নিয়েই শুক্রবার পথে নামেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে রামপুরহাট হত্যাকান্ডের তদন্তভার তুলে দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। রামপুরহাটের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলে আসছিলেন বিরোধীরা। এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের শুক্রবারের এই নির্দেশের পর, অনেকেই আশায় রয়েছেন, এবার তদন্ত ঠিকঠাক হবে। তবে সিবিআইয়ের উপর তদন্তভার দেওয়া নিয়ে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা গিয়েছে। অনেকে আবার এমনটাও মনে করছেন, কেবল মাত্র সিবিআই দিয়ে নয়, আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই কাজ করলে, তবেই ন্যায়বিচার সম্ভব।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট রামপুরহাট হত্যাকান্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশের পরই সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে চরম তৎপরতা চোখে পড়েছে। শুক্রবার বিকেলেই বৈঠকে বসেন সিবিআই অফিসাররা। জানা গিয়েছে, আগামিকাল, শনিবারই সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল পৌঁছে যাবেন বীরভূমে।