Central Force Deployment: রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই, দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে কমিশন

Bi Election: সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে ১২ এপ্রিল। বালিগঞ্জ ও আসানসোলের উপনির্বাচনে অন্তত ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বলে নির্বাচন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

Central Force Deployment: রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই, দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে কমিশন
উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2022 | 7:30 PM

কলকাতা : রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা। জন প্রতিনিধিরা খুন হচ্ছেন। বাড়িতে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এরই মধ্যে আবার রাজ্যে ১২ এপ্রিল উপনির্বাচন (Bi Election 2022) রয়েছে। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে চায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা রাখতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। তাই রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে উপনির্বাচন। সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে ১২ এপ্রিল। বালিগঞ্জ ও আসানসোলের উপনির্বাচনে অন্তত ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বলে নির্বাচন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যখন পুরভোট পরিচালনা করেছিল, তখন রাজ্যের একাধিক প্রান্তে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। এর পাশাপাশি, যেভাবে কোথাও সিসিটিভি ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল, কোথাও প্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেই সব বিষয়ের উপরই নজর রেখেছিল কমিশন। সূত্রের খবর, সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয়েছে যেমনভাবে গত বিধানসভা নির্বাচনে যত কোম্পানি বাহিনী এসেছিল বাংলায়, সেই মতো করে একটি আর্জি জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের হিসেবে অন্তত ১৭ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চাইছেন কমিশনের কর্তারা। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী কমপক্ষে ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে সব মিলিয়ে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহ থেকেই সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে রাজ্যে।

এর আগে পুরভোটের সময়েই বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে দাবি তুলেছিল। বিশেষ করে বিধাননগরের মতো স্পর্শকাতর এলাকাকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন বিরোধীরা। তবে শেষ পর্যন্ত পুরভোট হয়েছিল রাজ্য পুলিশের উপর ভর করেই। বিষয়টি সেই সময় হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল ঠিকই, কিন্তু হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের উপর হস্তক্ষেপ করেনি। তবে হাইকোর্ট সেই সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল, যদি কোনও অশান্তি হয়, তার দায় থাকবে কমিশনের। কিন্তু এরপরও, রাজ্যের পুরভোটে বেশ কিছু অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছিল।

আরও পড়ুন : Bagtui Massacre Protest March: বগটুই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথের দখল নিলেন বিশিষ্টরা

আরও পড়ুন : CBI on Bagtui Massacre: সিজিও কমপ্লেক্সে বৈঠকে সিবিআই, বগটুইকান্ডের তদন্তের নেতৃত্বে থাকতে পারেন জয়েন্ট ডিরেক্টর