Bagtui Massacre: মুখ্যমন্ত্রীর বরাভয়েও কেউ সাহস পেলেন না, অন্ধকার নামলেই শশ্মানের নিঃস্তব্ধতা
Rampurhat Crime: বগটুইয়ের একাধিক বাড়িতে এখনও তালাবন্ধ। প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারপরও বগটুইয়ের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। গোটা গ্রামটা যেন এখনও এক আতঙ্কপুরী।
রামপুরহাট : বৃহস্পতিবারই বগটুই গ্রাম (Bagtui Massacre) পরিদর্শনে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ভয়ে সিঁটিয়ে থাকা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। যাঁরা আতঙ্কে, বাড়ি-ঘর ছেড়ে, অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁদের গ্রামে ফিরে আসার জন্য আহ্বান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অভয় দিয়েছিলেন পুলিশি নিরাপত্তার। মুখ্যমন্ত্রীর সেই আহবানের পর ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে ভরসা রাখতে পারলেন ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষগুলি? ক’টি পরিবার ফিরলেন বাড়িতে? গ্রাউন্ড জিরো থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাস্তব চিত্রটা তুলে ধরল TV9 বাংলা। বগটুইয়ের একাধিক বাড়িতে এখনও তালাবন্ধ। প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারপরও বগটুইয়ের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। গোটা গ্রামটা যেন এখনও এক আতঙ্কপুরী।
এখনও গ্রামের সারি সারি বাড়িতে তালা ঝুলছে। একটি বাড়ি দেখা গেল তালা বন্ধ। সেই তালা আবার একটি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকেও রাখা রয়েছে। এমন একাধিক বাড়ির দেখা মিলল বগটুই গ্রামে, যেগুলি তালাবন্ধ। বাড়িতে যে কেউ নেই, সেই চিহ্ন স্পষ্ট। একাধিক বাড়ির বাইরে সদর দরজায় বাইরে থেকে তালাবন্ধ। যে বাড়িগুলি তালাবন্ধ, সেগুলি যে সদ্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তা বাড়ির হালচাল দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও যে বাড়িগুলিতে মানুষের বাস ছিল, তা স্পষ্ট।
এদিকে নিহত উপপ্রধান ভাদু শেখের বাড়িকেও এখন যেন এক শ্মশানের নিস্তব্ধতা গ্রাস করেছে। বাড়িতে যাওয়ার মূল দরজা বাইরে থেকে তালাবন্ধ। ভাদু শেখের পরিবারও ঘর ছাড়া। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন বগটুই গ্রামে। সেই জন্য তাঁরা এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য। কিন্তু তারপর থেকে তাঁরাও বাড়ি ছাড়া রয়েছেন। ঘরে ফেরেননি।
বগটুই ছেড়ে অন্য়ত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন, এখন ফিরে এসেছেন এমন এক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে TV9 বাংলা। সেই রাতের নৃশংসতা এখনও তাঁদের চোখে মুখের আতঙ্কের ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বললেন, “পরিবার আমার এখানেই ছিল। আমি একাই পালিয়ে গিয়েছিলাম। আমার পরিবার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।”
যাঁরা গ্রামে রয়েছেন, তাঁরাও রাতে যে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছেন, এমন নয়। গোটা গ্রামটাকে যেন এক অন্ধকার গ্রাস করেছে। সোনা শেখ, যাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁর প্রতিবেশীরা চারদিন ধরে অন্ধকার ঘরেই রাত কাটাচ্ছেন। তালা বন্ধ করে পাঁচ শিশুকে সঙ্গে নিয়ে অন্ধকার ঘরে ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : CBI on Bagtui Massacre: সিটের থেকে এফআইআর কপি চাইল সিবিআই, শনিবারই বগটুই যেতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা
আরও পড়ুন : TMC on CBI investigation: ‘ছেড়ে কথা বলব না’, সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের