কলকাতা: অতি মহামারি পরিস্থিতির জেরে এখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘দুয়ারে রেশন’-এর কাজ শুরু হতে পারেনি। তবে প্রশাসনিক স্তরে এর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সংক্রমণের প্রকোপ কিছুটা কম হলেই সেদিকে রাজ্য সরকার দ্রুত মন দেবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। এরই মধ্যে রাজ্যের খাদ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কিছু দাবি-দাওয়ার কথা জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশন। একটি চিঠি লিখে এই দাবিগুলি তুলে ধরা হয়েছে।
গোটা রাজ্য জুড়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়া চাট্টিখানিক কথা নয়। বিরাট পরিকল্পনা এবং পরিকাঠামো প্রয়োজন এর জন্য। তাই দুয়ারে রেশন কর্মসূচি যাতে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়েছে। একটি চিঠির আকারে এই দাবিগুলি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠকও করতে চেয়েছেন ডিলার সংগঠনের কর্তারা।
বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিতে বৈদ্যুতিন গাড়ি দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যের কাছে। এতে বাড়ির দরজায় সহজেই রেশন পৌঁছে দেওয়া যাবে।
বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিতে হলে তা প্যাকেটবন্দি করতে হবে। তা না হলে মুশকিল। খাদ্য শষ্য প্যাকেটজাত করার জন্য প্রতি কুইন্টাল পিছু ৪০ টাকা দাবি করে দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অগ্রিম টাকা দিয়েছিল রাজ্য, সেরাম থেকে ২ লক্ষের বেশি কোভিশিল্ড আসছে শহরে
দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতি কুইন্টাল পিছু ২০০ টাকা অতিরিক্ত কমিশনও দাবি করা হয়েছে ডিলার সংগঠনের পক্ষ থেকে।
সংগঠনের কর্তারা আবেদন জানিয়েছেন, যারা রেশন দোকানে এসে রেশন নিতে চান তাঁদের জন্য মাসের প্রথমে ১ থেকে ১৫ তারিখ, এবং যারা বাড়িতে থেকে রেশন নেবেন তাঁদের জন্য মাসের বাকি সময়টা বেঁধে দেওয়া হোক।
পাশাপাশি ডিলার সংগঠনের দাবি, সমতল এলাকায় বাড়ি বাড়ি রেশন দেওয়া সম্ভব হলেও পাহাড়ে তা সেটা কোনও ভাবেই সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়াদের পুর্নবাসন দিতে হবে রাজ্যকেই, পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির