কলকাতা: আরজি কর খুন-ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জর রাইকে। শনিবার দুপুর আড়াইটায় এজলাসে বসে বিচারক অনির্বাণ দাস স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যা তথ্য প্রমাণ উঠে এসেছে, তাতে সঞ্জয় রাই দোষী। সঞ্জয়কে এটাও জানিয়ে দেওয়া হয় যে তাঁর সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। তারপরও সঞ্জয় এদিন বললেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’
আদালতে ঠিক কী কী হল:
বিচারক: অভিযুক্তের হয়ে কেউ আছেন?
এরপরই আনা হয় সঞ্জয়কে। কোর্টরুমে এত ভিড় ছিল যে সঞ্জয়কে ঢোকাতে অসুবিধা হচ্ছিল। বিচারক অনুরোধ করেন সবাই আস্তে কথা বলুন। এখানে অভিযুক্তের নিরাপত্তা অনেক জরুরি।
বিচারক: শীর্ষ আদালতে কি কোনও স্থগিতাদেশ আছে?
সঞ্জয়ের আইনজীবী: নো লিস্টিং।
এরপর সঞ্জয় প্রবেশ করে।
বিচারক: আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আপনি হাসপাতালে ভোরের দিকে ঢুকে অন ডিউটিতে থাকা ডাক্তারকে আক্রমণ করেন। গলা চেপে ধরেন, মুখ চাপেন। তার উপর সেক্সুয়াল অফেন্স হয়। তার জেরে মারা যান। ৬৪ ও ১০৩ ধারা চার্জ ফ্রেম হয়। এতে যা প্রমাণ হয় যে আপনি অভিযুক্ত।
বিচারক: সাজা ১০ বছরের নীচে নয়। যাবজ্জীবন হতে পারে। ৬৪ বি এন এস ধারায় ২৫ বছর বা সারাজীবন জেল হতে পারে। মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
বিচারক: আপনি যেভাবে মেরেছেন, তাতে জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হতে পারে। সোমবার শাস্তি হতে পারে।
সঞ্জয়: আমায় ফাঁসানো হচ্ছে। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের গলায় মালা ছিল। সেটা ধস্তাধস্তিতে ছিঁড়তে পারে। সেটা পাওয়া গেল না কেন?
বিচারক: আমার যা মনে হয়েছে, তাতে দোষী আপনি। সোমবার তাও শুনব।
সঞ্জয়: আমি তো গরিব। আমি এ কাজ করিনি। যারা করেছে তাদের ধরুন। মিডিয়াও বলেছে। পুলিশের দিকে তাকিয়ে আপনারাও বলেছেন। তাহলে কেন ধরছেন আমায়।
এরপর কার্যত জোর করেই কোর্টরুম থেকে সঞ্জয়কে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে সেভাবে সঞ্জয়কে আদালতে মুখ খুলতে শোনা যায়নি। তবে এদিন তাঁকে কিছুটা বিভ্রান্ত দেখায়। তাঁকে দেখে মনে হয় যে, এবার তিনি বুঝতে পেরেছেন যে তাঁর শাস্তি হতে চলেছে।