SSC Group D Recruitment: বাড়ির ঠিকানাই ভুল! গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ ডাক বিভাগের অধিকর্তাকে
SSC Group D Recruitment: ইতিমধ্যেই এসএসসিতে (SSC) গ্রুপ ডি পদে ভুয়ো নিয়োগের মামলায় সিট বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সামনে এল ঠিকানার ত্রুটি।

কলকাতা : গ্রুপ ডি মামলায় বিভ্রান্তি ক্রমশ বেড়ে চলেছে। যে ২৫ নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের ঠিকানায় ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠল এবার। সেই মামলায় রাজ্য ডাক বিভাগের অধিকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। আজ, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই নির্দেশ দিয়েছেন।
মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে বলে মামলা হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে ২৫ জনের নিয়োগ নিয়ে এই অভিযোগ সামনে আসে। সেই ২৫ জনের মধ্যে কয়েক জনের বাড়ির ঠিকানা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই ২৫ জনকে আদালত এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। তাদের মধ্যে ১২ জনের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হলেও, ১১ জনকে চিঠি পাঠানো সম্ভব হয়নি। তাঁদের ঠিকানায় ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ।
একজনের ক্ষেত্রে ডাক বিভাগ আগে রিপোর্ট দিয়েছিল যে, বাড়িতে তালা দেওয়া রয়েছে। কিন্তু পরের দিনই চিঠি না দিতে পেরে ডাক বিভাগ জানিয়ে দেয়, সেই ঠিকানা ত্রুটিপূর্ণ। অপর একজন ওই নোটিস নিতে অস্বীকার করেন বলেও জানা গিয়েছে। এরপর এইসব ত্রুটিপূর্ণ ঠিকানা সম্পর্কে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। আগামী ১৭ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
কয়েক দিন আগেই এই মামলায় সিট বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে এই সিট গঠন করে তদন্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। টিমে থাকবেন মোট চার সদস্য।
এর আগে এই মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের আর্জি ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেন? প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে এই তদন্ত এগোক। পরে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়ে দেয়, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সামনে রেখে বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করা হচ্ছে।
কী সেই মামলা?
২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই মতো ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরেও একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে এসএসসি-র বিরুদ্ধে। ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের কথা জানা য়ায়। সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে আসে। কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ তালিকা থেকে নিয়োগ, তারই কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট। মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। মধ্য শিক্ষা পর্ষদের হলফনামার পর সিবিআইয়ের অনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে বলেই মনে করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। পরে সেই নির্দেশ খারিজ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee on Mahua Moitra: ‘কে কার পক্ষে আমার দেখার দরকার নেই’! মহুয়াকে ‘মৈত্রীর’ বার্তা মমতার
