AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দেড় কোটি কর্মসংস্থান, রোড ট্যাক্সে ছাড়, গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা রাজ্য বাজেটে

State Budget 2021: সপ্তদশ বিধানসভার প্রথম বাজেট পেশ। বাজেট পেশ করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

দেড় কোটি কর্মসংস্থান, রোড ট্যাক্সে ছাড়, গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা রাজ্য বাজেটে
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2021 | 3:17 PM
Share

কলকাতা: তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার বাজেট পেশ তৃণমূল সরকারের। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের অসুস্থতার কারণে এ বার বাজেট পেশ করছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সপ্তদশ বিধানসভার এটাই প্রথম বাজেট। গতকালই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও নিয়ম মেনে রাজ্য বাজেটে অনুমোদন দিয়েছেন। এই বাজেটে ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদলের ঘোষিত সামাজিক প্রকল্পগুলি ঘোষণা করা হবে বলে প্রত্যাশা ছিল।

কী কী গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হল রাজ্য বাজেটে? একনজরে:

  • রাজ্যের জন্য ৩,০৮,৭২৭ কোটি ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে,  রাজস্ব ঘাটতি ২৬,৭৫৫.২৬ কোটি,  ৭ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেটে।
  • স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড়।
  • ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত রোড ট্যাক্স মকুব।
  • আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি বাজেটে

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেট প্রসঙ্গে যা জানালেন:

  • মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বাজেট বরাদ্দ।
  • ১৪,২২৫.৫৪ কোটি প্রাপ্য টাকা কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র: মমতা।
  • ২০১৯-২০ তেও ১১ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়াও আমরা ৩৩ হাজার কোটি টাকা পাব কেন্দ্রের কাছ থেকে। অন্তত ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে আমরা বঞ্চিত: মমতা
  • আমফানে কেন্দ্রের কাছ থেকে ২২৫০ কোটি টাকার বেশি পাইনি। ইয়াসের পর ২১ হাজার কোটি টাকা চেয়েছিলাম, পেয়েছি মাত্র ৩০০ কোটি টাকা: মমতা
  • এত বঞ্চনা-বিরোধিতা সত্ত্বেও কেন্দ্রের তুলনায় বাংলা এগিয়ে: মমতা
  • কোভিড ম্যানেজমেন্টে ১৮৩০ কোটি, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের খাতে ২৫০ কোটি, লক্ষী ভাণ্ডার (নারী ও শিশু উন্নয়ন) প্রকল্পে ১০ হাজার কোটি, স্বাস্থ্য সাথী খাতে ১৯০০ কোটি
  • টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষায় মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ১৮,৬৫০ কোটি।

কী বললেন অমিত মিত্র

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি, সাধারণ মানুষের হাতে টাকা দিতে হবে। মানুষের হাতে টাকা গেলে তারা খরচ করবে, তবেই ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। কেন্দ্রীয় সরকার যে নীতি নিয়ে সেটা ঠিক নয়। আমাদের সরকার সঠিক নীতি নিয়ে এগোচ্ছে।’ তিনি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘কেন্দ্র কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে দিল ১০ শতাংশ, কিন্তু তারা বিনিয়োগ করল না। সে ক্ষেত্রে কোনও লাভ হল না।’ অমিত মিত্রের কথায়, ‘এ রাজ্যে আমরা সাধারণ মানুষের হাতে টাকা দিচ্ছি, তারা বাজারে এসে খরচ করছে। খাবারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আসছে, কারণ চাহিদা তৈরি হয়েছে।’ অমিত মিত্রের বক্তব্য, ‘ম্যাক্রো ইকনমিক্স পলিসি শেখা উচিৎ কেন্দ্রীয় সরকারের। সামাজিক খাতে বেশি টাকা বরাদ্দ করা রাজ্যের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।’