Suvendu Adhikari: ‘আজ আপনি করলে পরশু অন্য কেউ আবদার করবে?’ শুভেন্দুর আর্জি পত্রপাঠ খারিজ করলেন বিচারপতি

Suvendu Adhikari: ভোট পরবর্তী হিংসায় 'আক্রান্ত'দের সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু রাজভবনে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। এরপর 'আক্রান্ত'দের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসতে চাইছেন শুভেন্দু।  ১৩ জুন পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়।

Suvendu Adhikari: 'আজ আপনি করলে পরশু অন্য কেউ আবদার করবে?' শুভেন্দুর আর্জি পত্রপাঠ খারিজ করলেন বিচারপতি
শুভেন্দু অধিকারী, বিরোধী দলনেতাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2024 | 2:29 PM

কলকাতা: রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসার অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি শুভেন্দু অধিকারীকে বিকল্প কোনও জায়গা খুঁজে বার করার পরামর্শ দেন। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “বিকল্প জায়গার সন্ধান নিয়ে আসুন, ভেবে দেখছি।”

ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্ত’দের সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু রাজভবনে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। এরপর ‘আক্রান্ত’দের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসতে চাইছেন শুভেন্দু।  ১৩ জুন পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়। গতকাল পুলিশ সেই আবেদন খারিজ করে বলে আদালতে দাবি করেন শুভেন্দুর আইনজীবীর। এক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। কারণ এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের বাইরে ধরনায় বসেছিলেন একশো দিনের কাজের টাকা আদায়-সহ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে। তাতে পুলিশ অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু শুভেন্দুকে কেন দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে আদালতে মামলা হয়।

এদিনের শুনানিতে মামলকারীদের আইনজীবী বিলদ্বল ভট্টাচার্য বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার যাঁরা, তাঁদের নিয়ে ধর্না দিতে চান।”  বিচারপতি সিনহা শুভেন্দুকে প্রশ্ন করেন, “ওখানেই কেন অবস্থানে বসতে হবে? শাসক দল বসেছিল বলে?” মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, “আমরা মনে করি রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান সেই কারণে আমরা রাজভবনের সামনে ধর্না দিতে চাই।” আদালতে তাঁরা জানান, শান্তিপূর্ণ ধর্না হবে। কোনও স্টেজ পর্যন্ত করা হবে না। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে আমাদের রাজভবনের সামনে ধর্না অনুমতি দেয়নি। ওয়াই চ্যানেলে বসতে বলছে। মামলাকারী আরও বলেন, “যদি বলতো আজ সপ্তাহের মাঝে কোনও দিন, তাহলে আমরা শনি না রবিবার বসতে পারি। কিন্তু আমাদের অনুমতি কেন দেওয়া হচ্ছে না কেন?” আদালতে উল্লেখ করা হয়, ঠিক ওখানেই শাসক দল ধর্না দিয়েছে, এমনকি স্টেজ করে। তাহলে এক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হবে না?

বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন করেন, “এই প্রশাসনিক কারণটা কী?”  এডভোকেট জেনরাল বলেন, “মামলাকারী যে আবেদন করেছেন, সেটা কি আদৌ আবেদন বলা যায়? ওঁ প্রশ্ন করেছেন এর আগে ধর্না যখন হয়েছিল তখন কোনও ১৪৪ ধারা উবে গিয়েছিল?” বিচারপতি আরও বলেন, “একজন করতে পারল, একজন করার অনুমতি পেলো না, এটা হলে তো অসাম্যের অভিযোগ উঠবেই। আমি নেগেটিভ ইকুয়ালিটির কথা বলতে পারিনা।”

বিচারপতি সিনহা এজিকে প্রশ্ন করেন, “আপনি বললেন ওই এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তাহলে ওই সময় যারা ১৪৪ ধারা ভেঙে যাঁরা ধর্না দিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে”   এজি বলেন, “আমাকে ইন্সট্রাকশন নিয়ে বলতে হবে।”

বিচারপতির ফের প্রশ্ন মামলাকারীর আইনজীবীকে বলেন, ” কেন আপনি ওখানেই ধরনা দিতে চাইছেন? এর আগে কেউ আইন ভেঙে ধরনা দিলে আরেক জনকেও কি ১৪৪ ভেঙে ধরনা দিতে হবে? তাহলে তো পরশু অন্য কেউ একই আবদার করবে।”