Messi In Kolkata: ক্ষোভ যুক্তিসঙ্গত! শনিবার স্টেডিয়ামে যা যা হল, তার বেশ কিছু ছবি নিয়ে প্রশ্ন
Messi In Kolkata: তারপরও শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বেশ কিছু ছবি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। চেয়ার, কার্পেট, ফুলের টব কারা তুলে নিয়ে গেল? প্রশ্ন উঠছে, যাঁরা চেয়ার-কার্পেট তুলে নিয়ে গেলেন, তাঁরা কি আদৌ ক্রীড়াপ্রেমী? ময়দানকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরা কি সত্যি সত্যি মাঠে ক্ষতি করতে পারেন?

কলকাতা: মেসিকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভের আগুন যুবভারতী জুড়ে। চড়া দামে টিকিট কেটেও মেসিকে দেখতে না পেয়ে ব্যাপক ক্ষোভ। অনেকেই বলছেন, সেই ক্ষোভ যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু তারপরও শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বেশ কিছু ছবি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। চেয়ার, কার্পেট, ফুলের টব কারা তুলে নিয়ে গেল? প্রশ্ন উঠছে, যাঁরা চেয়ার-কার্পেট তুলে নিয়ে গেলেন, তাঁরা কি আদৌ ক্রীড়াপ্রেমী? ময়দানকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরা কি সত্যি সত্যি মাঠে ক্ষতি করতে পারেন?
গতকালই দেখা গিয়েছে, কেউ তালা ভাঙছেন, কেউ চেয়ার, কেউ বা আস্ত একটা কার্পেটই কাঁধে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এরকমই এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ক্যামেরা দেখতেই সোজাসাপটা তিনি বলেন, “এমনভাবে ছুবি তুলবেন না আমার। অনেক টাকা দিয়ে এসেছি। ১০ হাজারের টিকিট কেটেছি। মেসির মুখ দেখতে পাইনি। আমাদের নেতামন্ত্রীদের মুখ, যাঁদের মুখ সবসময় দেখি, তাঁদেরকেই দেখতে পেয়েছি। তাঁদের তো দেখতে আসিনি টিকিট কেটে।” কার্পেট কেন নিয়ে যাচ্ছেন? বললেন, “এটা নিয়ে যাচ্ছি, কারণ প্র্যাকটিস করব আমরা ক্লাবে।”
গোটা ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তবে চেয়ার-টব-কার্পেট তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কোনওভাবেই সমর্থন যোগ্য নয় বলে তাঁরাও সরব হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর যে ছবি তৈরি হয়েছিল, তারই যেন প্রতিচ্ছবি। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ স্বাভাবিক। এই ইমোশনটা বুঝতে হবে। যারা ভেঙেছে, যারা ১৫ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিল, তারা ওই ভাঙা সিটটা নিয়ে আসবে বলে কাটেনি কিন্তু। বাংলাদেশিদের মতো করে কার্পেট, ফুলের টব তুুলে নিয়ে যাওয়া কাম্য নয়। আসলে মানুষ বলছে, আমরা পয়সাটা উসুল করতে এসেছি। ১৫ হাজার টাকা যিনি দিয়েছেন, তাঁরা তো ভাবেননি কার্পেট তোলার সুযোগ পাবেন।”
তৃণমূল মুখপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, “অত্যন্ত নিকৃষ্টতম ঘটনা ঘটেছে। তাতে আমাদের কলকাতার নাম নষ্ট হয়েছে। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ক্রীড়াপ্রেমীদের আবেগকে সম্মান জানিয়েই বলছি, কিছু এমন লোকজন ঢুকে পড়েছিল, যারা এসব করেছে। একজনকে তো দেখছি, গেরুয়া পতাকা হাতে জয় শ্রী রাম বলেও ভাঙচুর করছিল। কারা এই কাণ্ড ঘটাল নিশ্চয়ই পুলিশ দেখবে।”
উল্লেখ্য, মূল উদ্যোক্তা শতুদ্র দত্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁকে রবিবার আদালতে পেশ করা হয়। সে সময়েও আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
