Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Madan Mitra: হাওয়া বুঝেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে এবার বক্সীকে চিঠি মদনের, বাংলায় লিখলেন…

Madan Mitra: সোমবার বাংলায় দলের রাজ্য সভাপতিকে চিঠি লেখেন কামারহাটির বিধায়ক। চিঠিতে মদন লিখেছেন, সাম্প্রতিককালে তাঁর দুটি মন্তব্য সংবাদমাধ্যমের একাংশে বিকৃতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Madan Mitra: হাওয়া বুঝেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে এবার বক্সীকে চিঠি মদনের, বাংলায় লিখলেন...
মদন মিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 03, 2025 | 10:30 PM

কলকাতা: তাঁর একাধিক মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসকদলও। এই পরিস্থিতিতে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। আর সেই জল্পনার মধ্যে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে চিঠি লিখলেন মদন মিত্র। তাঁকে ভুল না বুঝে ক্ষমা করার জন্য বললেন। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, সংবাদমাধ্যমের একাংশে তাঁর বক্তব্য বিকৃতভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

সোমবার বাংলায় দলের রাজ্য সভাপতিকে চিঠি লেখেন কামারহাটির বিধায়ক। চিঠিতে মদন লিখেছেন, সাম্প্রতিককালে তাঁর দুটি মন্তব্য সংবাদমাধ্যমের একাংশে বিকৃতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপরই কামারহাটির বিধায়ক লেখেন, “আমাদের সকলের সভানেত্রী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মর্মাহত হয়েছেন। এর জন্য আমি লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। এবং দলকে অনুরোধ করছি, আমায় ভুল না বুঝে ক্ষমা করার জন্য।”

গত ২ দিনে মদনের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্যের শাসকদল। গতকাল তিনি বলেছিলেন, রাজ্যে এখন তৃণমূলের পদ পেতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়েছে। এর জন্য টাকা দিতেও প্রস্তুত অনেকে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের একাংশ তৃণমূলের পদ পেতে উড়েপড়ে লেগেছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। এমনকি, জেলা কমিটির সদস্য হতে ১০ লক্ষ টাকা দিতে প্রস্তুত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

আর সোমবার আইপ্যাককে আক্রমণ করেন মদন। তিনি বলেন, “সব থেকে বড় কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও দুর্নাম ছিল না। যেটুকু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়ে কালি লেগেছে, তা প্যাকওয়ালাদের জন্য।” টাকার বিনিময়ে তৃণমূলে পদ বিক্রি নিয়ে এদিনও তিনি বলেন, “প্যাকের কারণেই এই টাকার প্রশ্নটা এল, পদ পেতে হলে যে টাকা দিতে হবে। তৃণমূলের অনেক পুরনো ছেলে, যারা মানে তৃণমূলের গোদা গোদা নেতা, তারাও অনেকে এরকম টাকা দিয়েছে। পদ পাওয়ার জন্য। লজ্জায় বলছে না, কারণ তারা টাকা দিয়েছে শুনলে পাড়ায় আর বেরোতে পারবে না। এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও যোগাযোগ নেই। মমতাকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই এই কাজ করা হয়েছে।”

মদনের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে আক্রমণ শুরু করে বিরোধীরা। মদনের যে প্রকাশ্যে এমন কথা বলা ঠিক হয়নি, তা বুঝিয়ে দেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “দলের ভিতরের কথা বাইরে বলব না। বাইরে বলাটা উচিতও নয়। যদি কিছু বলার থাকে দলে বলব।” কামারহাটির বিধায়কের বিরুদ্ধে দল কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জল্পনা ছড়ায়। তারই মধ্যে ক্ষমা চেয়ে দলের রাজ্য সভাপতিকে চিঠি দিলেন মদন।