কলকাতা: ময়নাগুড়ি শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রোজই দেখা যাচ্ছে নিত্যনতুন মোড়। এদিকে শুক্রবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Shuvendu Adhikari) নেতৃত্বে ময়নাগুড়িতে যায় ১৭ সদস্যের পরিষদীয় দল। এবার তা নিয়ে শুভেন্দুকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। একইসঙ্গে বিজেপির অন্দরে শুভেন্দুর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও তুললেন প্রশ্ন। তীব্র কটাক্ষবান শানিয়ে কুণাল বলেন, “শুভেন্দু আসলে গাঁয়ে মানেনা আপনে মোড়ল। নির্যাতিতা পরিবারের সদস্যরা তো সাফ বলছেন এটা রাজনীতির ঘটনা নয়। শকুনের রাজনীতি করলে মহিলারা বলছেন চলে যান, রাজনীতি করতে দেব না। শুভেন্দুকে দেখেই বলেছেন, যেভাবে এসেছেন সেভাবে চলে যান। তখন নির্লজ্জ, বেহায়া শুভেন্দু মুখ রক্ষায় বলছেন, যদি কোনও সাহায্য লাগে আমাদের বলবেন। আসলে ওকে ওর দলেও কেউ মানেনা। দলের মধ্যে ওর গ্রহণযোগ্যতা নেই”।
এখানেই না থেমে আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে কুণাল বলেন, “দিলীপ-সুকান্তদের পাশাপাশি শুভেন্দু নিজে আলাদা সমান্তরাল দল চালাতে চাইছে। গোটা বিজেপির অধিকাংশ নেতানেত্রী ওকে একদমই দেখতে পারে না। এদিক-ওদিক উড়ে বেড়াচ্ছে, প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। একটা মানসিক হতাশায় ক্রমশ ভুগতে শুরু করেছে। বাবার ছায়া আর দিদির দয়ায় ওর রাজনৈতিক জীবন চলেছে। এসিতে মানুষ হয়েছে, গরমকালে চাঁদিতে গরম রোদ্দুর পড়াতে ভুগতে হচ্ছে। প্রলাপ বকছে। নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে আবার খাট ভেঙে পড়ে গিয়েছেন বলেও শুনলাম।”
অন্যদিকে বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি মোদী-শাহদের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন কুণাল। সিবিআই,ইডির তদন্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কুণাল বলেন, “জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নিজের কাজে ব্যবহার করছে কেন্দ্র সরকার। এজেন্সি গুলির যোগ্য-দক্ষ অফিসারদের অপব্যহার করা হচ্ছে। বিএসএফকে সীমান্ত পাহাড়ার বদলে, সীমান্ত থেকে ভেতরে এলাকা দখল কী করে করা যায় সেই কাজে ব্য়বহার করা হচ্ছে। এই বিজেপির কিছু নেই। কেন্দ্রের টাকা বিজেপির নয়। রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দ্রুত দিক। ভিক্ষে নয়, বাংলার প্রাপ্য দাবি করছি”। তোপ দাগেন শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি নিয়েও। কুণালের কথায়, “নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। ওরা দাঁড়াবে আর হারবে। বাংলায় শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা মমতা বন্দোপাধ্যায় ভরসা। বর্তমানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে শুরু করে নানা এজেন্সিকে ব্যবহার করে ব্যাকডোর পলিটিক্স করছে বিজেপি। যত পিছন দিয়ে নাক গলাবে, বিরক্ত করবে তত বাংলার মানুষ বিজেপির স্বরূপ চিনে নেবে। ওদের পরাজয়ের ব্যবধান আরও বাড়বে”।