AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Maynaguri case: ‘প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত চান, আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি’, ময়নাগুড়ির মৃত নাবালিকার পরিবারকে পরামর্শ শুভেন্দুর

Maynaguri case:ময়নাগুড়ির মৃত নাবালিকার বাড়িতে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিচার পেতে পরিবারকে সিবিআই তদন্ত চাওয়ার পরামর্শ দিলেন।

Maynaguri case: 'প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত চান, আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি', ময়নাগুড়ির মৃত নাবালিকার পরিবারকে পরামর্শ শুভেন্দুর
ছবি- ময়নাগুড়িতে শুভেন্দু
| Edited By: | Updated on: Apr 29, 2022 | 4:26 PM
Share

ময়নাগুড়ি : ময়নাগুড়ি শ্লীলতাহানি কাণ্ডে (Maynaguri Molestation Case) রাজ্য সরকারে উপর লাগাতার চাপ বাড়িয়ে চলেছে বিজেপি (BJP)। তৃণমূলকে(Trinamool) কোণঠাসা করতে ময়দানে নেমে পড়়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। শুক্রবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Shuvendu Adhikari) নেতৃত্বে এই দল ময়নাগুড়িতে পা রাখে। শুভেন্দুর সঙ্গে রয়েছেন ১৭ জন বিজেপি বিধায়ক। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট নির্যাতিতার পরিবার। তবে তদন্তে কোনও খামতি থাকলে ফের সিবিআই তদন্তের (CBI probe) দাবি করবেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা। সিবিআই তদন্তের দাবি থেকে সরে দুদিন আগেই বয়ান বদলে ছিলেন নির্যাতিতার বাবা। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতরও তৈরি হয়। অভিযোগ, শাসক শিবিরের চাপে পড়েই বয়ান বদলে ছিলেন তিনি।

এদিন ময়নাগুড়িতে আসার পরেই সরাসরি নির্যাতিতার বাড়িতে চলে যান শুভেন্দু অধিকারীরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, দ্রুত বিচার পেতে ইতিমধ্যে ওই নির্যাতিতার পরিবারকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। দ্রুত আদালতে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন। কিন্তু, পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছেন, তাঁরা পুলিশি তদন্তে আপাতত খুশি। শুরুতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে গোটা তদন্তে পুলিশ খুবই সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। যদিও তাঁর পরেও শুভেন্দুরা তাঁদের সিবিআই তদন্তের গুরুত্বের কথা বুঝিয়ে বলেন। একইসঙ্গে, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে যাতে দ্রুত এই মামলার শুনানি হয় সেই বিষয়েও সরকারের কাছে আবেদন করারও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। এমনকী যদি পরিবারের সদস্যরা চান তাহলে শুভেন্দুরা তাঁদের সমস্ত রকম আইনি সহায়তা দিতেও প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন। প্রয়োজনে হলে আগামীতে একাধিকবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের আলোচনায় বসতেও কোনও সমস্যা নেই তাঁদের।

প্রসঙ্গত, শ্লীলতাহানির ঘটনার ১২ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। এরপরেই সিবিআই তদন্তের পক্ষে পরিবারের সদস্যরা সরব হলেও দেহ নিয়ে গ্রামে ফেরার পর মত বদল করতে দেখা যায় নির্যাতিতার বাবাকে। রাজ্য পুলিশেই তাঁদের আস্থা রয়েছে বলে সাফ জানিয়ে দেন। সেই সময় বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, মূল অভিযুক্ত যেহেতু এলাকার তৃণমূলের নেতাদের ছত্রছায়ায় রয়েছে সেই কারণেই তাঁদের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। সেই কারণেই মত বদল। যদিও এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে এই প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব, আপাতত বিশেষ চাপ আছে বলে মনে হচ্ছে না। এলাকা ও স্থানীয় মানুষের চাপে পুলিশ কিছুটা হলেও কাজ করছে। তবে এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি তিনি।

এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর শুভেন্দু বলেন, “তাঁরা বলছেন পুলিশ আগে গুরুত্ব দিচ্ছিল না, কিন্তু এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই তাঁরা আশা করছেন দোষীদের শাস্তি হবে। কিন্ত, আমাদের অতীতের অনেক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ওনাকে বলেছি এখানকার যা পুলিশি ব্যবস্থা রয়েছে দু-তিন মাস পরে এই ধর্ষক জামিন পেয়ে যাবে। এমনকী ১০-১৫ বছরের আগে এর বিচার পাওয়া যাবে না। তাই আদালতের মাধ্যমে দ্রুত সিবিআই তদন্তের আবেদন করার পরামর্শ আমি তাঁদের দিয়েছি”।

আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় বিদ্যুতের খরচ বাড়ল অনেকটা, জেনে নিন ইউনিট প্রতি কত দাম?