Weather Updates: জানুয়ারির শীতলতম দিন আজই, তবে শীতের আশায় নিরাশ হবেন! ‘আগমনী’ জোড়া বিপদ…

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jan 04, 2022 | 7:58 AM

Kolkata: মরসুমের শীতলতম দিন ছিল ২০ ডিসেম্বর। সেদিন পারদ নামে ১১.২ ডিগ্রিতে। তবে সেই রেকর্ড এই দফায় ভাঙার সম্ভাবনা নেই। উল্টে বৃহস্পতিবার থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা

Weather Updates: জানুয়ারির শীতলতম দিন আজই, তবে শীতের আশায় নিরাশ হবেন! আগমনী জোড়া বিপদ...
ফের পারদ পতন (ফাইল ছবি)

Follow Us

কলকাতা: বছর শুরুতেই বঙ্গাকাশে বৃষ্টি বিপদের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। আপাতত সে বিপদ ছুটি নিলেও শীতের দেখা মিলবে না বলেই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। শুধু তাই নয়, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারই জানুয়ারির শীতলতম দিন (Coldest Day) এমনটাই খবর আলিপুর সূত্রে।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতায় জানুয়ারির শীতলতম দিনে আরও কিছুটা তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। গতকাল তা ১৩.৫ ডিগ্রিতে নেমেছিল। বছরের শেষ দিনে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মরসুমের শীতলতম দিন ছিল ২০ ডিসেম্বর। সেদিন পারদ নামে ১১.২ ডিগ্রিতে। তবে সেই রেকর্ড এই দফায় ভাঙার সম্ভাবনা নেই। উল্টে বৃহস্পতিবার থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। অন্তত সাতদিন উধাও হয়ে যেতে পারে শীত। সপ্তাহের শেষে কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ১৭-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিনের তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পারে ২৭-২৮ ডিগ্রিতে।

কলকাতার মতো জেলাগুলিতেও পারদ নিম্নমুখী। আকাশ পরিষ্কার থাকায় জেলায় ঠান্ডার ভালোই দাপট থাকবে। এখনও অবধি বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে এখনই ধরা দিচ্ছে না শীত। নেপথ্যে জোড়া শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। একটি ইতিমধ্যেই কাশ্মীরে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। অন্যটি আসছে ৭-৯ জানুয়ারির মধ্যে। ফলে একটানা অনেকদিন দুর্বল থাকবে হিমেল হাওয়া।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে,’২১-এ গোটা ডিসেম্বর মিলিয়ে কলকাতার রাতের তাপমাত্রার গড় থেকেছে স্বাভাবিকের উপরেই।  পরিসংখ্যান বলছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় দাঁড়িয়েছিল ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিক ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অর্থাত্‍ স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি বেশি। শীতে তো তাপমাত্রা কম থাকবে, হল বেশি! অধরা পাশ মার্কই। কেন বেশি হয়েছে? উত্তর সহজ। ৩১ দিনের মাসে ১৮ দিনই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের উপরে। ১৩ দিন পারদ ছিল স্বাভাবিক বা তার নীচে।

মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান, উপমহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টানা ঠান্ডা পেতে হলে দুই ঝঞ্ঝার মধ্যে সময়ের ফারাক থাকতে হয়। সেই জন্যই গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর একটানা শীতের আমেজ পেয়েছে কলকাতা। কিন্তু দু’টি ঝঞ্ঝার মধ্যে সময়ের ফারাক না-থাকলে তাপমাত্রা নামার সময় পায় না। সেটাই হয়েছে।” তাহলে উপায়? আপাতত, শীতের জন্য চাতকের অপেক্ষা! বলছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

Next Article