Local Train Timing: ৭টা নয়, শেষ লোকাল ট্রেন ছাড়বে রাত ১০টায়, নয়া নির্দেশিকা নবান্নের
Local Train: সোমবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা: সন্ধ্যা সাতটার পর লোকাল ট্রেন বন্ধ নিয়ে রাজ্যের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। সাধারণ মানুষেরও একই বক্তব্য, ৭টায় ট্রেন হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ স্টেশন ছেড়ে গেলে এরপর অফিস ফেরত মানুষের কী হবে। যাত্রীদের ভোগান্তি রুখতে রাতারাতি নির্দেশিকা বদল করল নবান্ন। জানিয়ে দিল, সন্ধ্যা সাতটা নয়, লোকাল ট্রেন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। অর্থাৎ শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া থেকে শেষ ট্রেন রাত ১০টায় ছাড়া হবে। সোমবার থেকেই এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে।
কী কারণে এই সময়ের পরিবর্তন তা নিয়ে নবান্নের তরফে এখনও কিছু জানা না গেলেও, এ কথা ঠিক রবিবার মুখ্যসচিব কোভিডের নতুন বিধিনিষেধ ঘোষণার পর থেকে সর্বাপেক্ষা আলোচ্য হয়ে ওঠে শেষ লোকাল ট্রেন ছাড়ার সময়সীমা। মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। নিত্যযাত্রীরা বহু দূর থেকে আসেন। বহু মানুষ আছেন, যাঁরা প্রত্যন্ত জেলা থেকেও কলকাতায় নিয়মিত কাজ করতে আসেন।
শেষ ট্রেনের সময়সীমা যদি সেক্ষেত্রে ৭টা হয়, তাঁরা কীভাবে বাড়ি ফিরবেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কারণ, অফিসের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা নবান্ন জারি করেনি। পূর্ব রেলের তরফেও জানানো হয়েছিল ৭টার সময় তারা শেষ লোকাল ট্রেন ছাড়বে। দক্ষিণ পূর্ব রেল জানিয়েছিল, ৭টার মধ্যে তারা লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেবে।
কিন্তু সোমবার রাজ্যের তরফে নতুন করে সময়সীমা বদলে নির্দেশিকা জারি করা হয়। তবে রেলের তরফে সোমবার থেকেই রাত ১০টা অবধি পরিষেবা দেওয়া সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ আছে। কারণ, কর্মী বহালের একটা বিষয় রয়েছে। রেক ম্যানেজমেন্টও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করেই পূর্ব রেল বা দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষে রাত ১০টা অবধি ট্রেন চালানো সম্ভব।
রেল আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অফিশিয়াল আপডেট এখনও তাঁদের কাছে এসে পৌঁছয়নি। তা এসে পৌঁছনোর পর সোমবারই রাত ১০টা অবধি ট্রেন চালানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তবে এদিন রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কারণ, বহু দূর থেকে মানুষ শহরে কাজে আসেন। বহু যাত্রী রয়েছেন যাঁদের কাজের জায়গা থেকে ৭টার মধ্যে হাওড়া কিংবা শিয়ালদহে এসে পৌঁছনোই দুষ্কর।
এদিন বিকেল পাঁচটা থেকে কার্যত স্টেশনে স্টেশনে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ১০টা অবধি শপিংমল, রেস্তোরাঁ, হোটেল, পানশালা খুলে রেখে সরকার কীভাবে সাত তাড়াতাড়ি ট্রেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। সাড়ে ৫টার পর থেকে ট্রেন কমতে শুরু করে বলেও অভিযোগ তোলেন হাওড়া, শিয়ালদহ, বিধাননগর, দমদম স্টেশনের যাত্রীরা। স্টেশনগুলিতে থিক থিক করছে মানুষের মাথা। অভিযোগ, ভিড়ে পড়ি কী মরি করে ট্রেন ধরতে গিয়ে দমদম স্টেশনে পড়েও যান একজন।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই ছবি দেখে সরকারের কাছে খুব স্পষ্ট, এভাবে সংক্রমণ রোখা তো কোনওভাবেই সম্ভব নয়। উল্টে বাড়বে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, দুর্ঘটনা। এরইমধ্যে নবান্ন থেকে নির্দেশ আসে, শেষ ট্রেনের সময় ৭টা নয়, আরও তিন ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: Gangasagar Mela: বন্ধ রাখা হোক গঙ্গাসাগর মেলা, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা